পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ տ/e খুজিয়া পাইলেন । এই সামান্ত নাটকখানিকে কেন্দ্র করিয়াই রেভারেও লং, সাটন-কার প্রভৃতি পাশ্চাত্য সহৃদয় ব্যক্তিরা অপদস্থ হইলেন । বঙ্গদেশের ছোট লাট সার জে. পি. গ্রান্ট সাহেবকেও অপদস্থ হইতে হইল এবং শেষ পর্য্যস্ত নীলহাঙ্গামার কথা পৃথিবীর সর্বত্র রাষ্ট্র হইয়া পড়াতে কর্তৃপক্ষ বিহিত ব্যবস্থ৷ করিতে বাধ্য হইলেন । সে কালে রচিত কয়েকটি বিখ্যাত গানে দেশের লোকের তৎকালীন মনোভাবের পরিচয় আছে । গানগুলি লোকের মুখে মুখে দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করিয়াছিল । "নীল-দপণের পরবত্তী সংস্করণে এই গানগুলির কয়েকটি এই ভাবে মুদ্রিত হইয়াছিল – রাগিণী আড়ানা বাহার—তাল তিওট হে নিরদয় নীলকরগণ । আর সহে না প্রাণে এ নীল দহন ॥ কৃষকের ধনে প্রাণে, দহিলে নীল আগুনে, গুণরাশি কি কুদিনে, কল্পে হেথা পদার্পণ। দাদনের স্বকৌশলে, শ্বেত সমাজের বলে, লুঠেছ সকল তো হে কি আর আছে এখন । দীন জনে দুঃখ দিতে, কাহার না লাগে চিতে, কেবল নীলের হেরি পাষাণ সমান মন । বৃটন স্বভাবে শেষে, কালি দিলে বঙ্গে এসে, তরিলে জলধিজল, পোড়াতে স্বর্ণভবন । (दिशांडूनै-कृङ ) কবির সুর নীল বানরে সোণার বাংলা কল্পে এবার ছারেখার । অসময়ে হরিশ মলো লংয়ের হলো কারাগার। প্রজার আর প্রাণ বাচানো ভার।