পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক রাজার উদ্যান জলধরের প্রবেশ জল । মালতী এই রমণীয় উদ্যানে জলক্রীড়া করিতে আসে, আমি ত্রিভঙ্গ হোয়ে এইখানে দাড়াই, শিস দিতে থাকি, বংশীধ্বনি বিবেচনা করে সেই রমণীমণি রাধাবিনোদিনী আমার নিকটে আসবেন । ( শিস দেওন ) বংশীধারীর মত আর কিছু থাক না থাক বর্ণটি আছে । এই তো রূপ, এতেই জগদম্বার গৌরব কত, এমন স্বামী যেন আর কারো হয় নি, এ কথা এক দিকে সত্য বটে। আমার যেমন রূপ, আমার জগদম্বারও ততোধিক—কোকিলগঞ্জিনী, স্বরে ? না, বৰ্ণে ; বয়সে গাছ পাতর নাই, কিন্তু আজো কেউ পদ্মচক্ষু দেখতে পেলে না, কেন তিনি কি অতি লজ্জাশীল ? তা নয়, চোয়াল দুখানি এমনি উচু নয়নযুগল নয়নগোচর হয় না, যদি চিত হোয়ে শুয়ে র্কাদেন, বাছার চক্ষের জল চক্ষে থাকে, গড়াতে পায় না এমনি খোল ; আহা ! যখন হাসেন, যেন মূলোর দোকান খুলে বসেন ; নাক দেখলে স্বৰ্পণখা লজ্জা পায় ; আর কাজে কাজেই গজেন্দ্রগামিনী, কারণ দুই পায়েতেই গোদ আছে ; কথা কন আর অমৃত বর্ষণ হোতে থাকে, অর্থাৎ যে কাছে থাকে তার সকল গায়ে থুতু লাগে । যেমন দেব। তেমনি দেবী, যেমন জগন্নাথ তেমনি সুভদ্রা, যেমন জলধর তেমনি জগদম্বা । ( শিস দেওন ) মালতী আজ কি আসবে না ? আহা ! মালতী যদি আমার মাগ হতো, তা হলে যে কি কত্তেম তা কি বলবো । মালতীর নামে একটি কবিতা করি, (চিন্তা )—হয়েচে ।