পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তপস্বিনী ৬৭ রতি । আমার বিরস বদনের কারণ শুনলে—মালতি, আমি তোমায় ছেড়ে কেমন করে এত দিনের পথ যাবে, আর ফিরি কি ন সন্দেহ। হেঁাদোল কুতকুতের নাম শুনি নি, হেঁদোল কুঁতৰ্কতে কোথায় পাবো ; আমার সৰ্ব্বনাশের জন্যেই হেঁাদোল কুতকুতের নাম হয়েছে । মল্লি । আমি হেঁাদোল কুতকুতের বাচ্চ দেখি নি, কিন্তু ধাড়ী দেখিচি ; যদি বল, আমি ধাড়ী হোদোল কুতকুতে ধরে দিতে পারি । রতি । মল্লিকে, এ কি তামাসার সময়—কারো সৰ্ব্বনাশ, কারো পরিহাস । যার নাম কেহ শুনি নি, তুমি তার ধাড়ী ধরে দিতে পার । মল্লি। যথার্থ বলচি, আমি হেঁাদোল কুতকুতে দেখিচি, হেঁাদোল কুঁতকুতের উপদ্রবে পাড়ার মেয়ের ঘাটে যেতে পারে না । মাল। মল্লিকে যা বলচে মিথ্যে নয় । রতি । তুমিও বিদ্রুপ কত্তে লাগলে । মাল । আমি যখন তোমার দুঃখে আমোদ কচ্চি, তখন অবশ্যই কোন কারণ থাকবে । মল্লি । সদাগর মহাশয় আমার কাছে নিগূঢ় কথা শুনুন— মন্ত্রী জলধর ঘাটের পথে আমাদের ত্যক্ত করেন, আমাদিগের দেখে হাসেন, গান করেন, কবিতা আওড়ান, আমরা তাকে জব্দ করবের জন্তে মিছে মিছি রাজি হয়ে, তার বৈটকখানায় যেতে স্বীকার করেছিলেম, তার পর জগদম্বাকে আমাদের বদলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেম, তার পর যা, তা তুমি জান । এক্ষণে মন্ত্রী মহাশয় তোমাকে কোন রকমে বিদেশে পাঠায়ে দিয়ে, মালতীর উপর উপদ্রব করবেন। রাজা মনস্তাপে অধীর