পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অঙ্ক প্রথম গর্ভাঙ্ক বিদ্যাভূষণের বাটীর প্রাঙ্গণ বিদ্যাভূষণ এবং সুরমার প্রবেশ সুর । তোমার মত নিষ্ঠুর হৃদয় অার কারো নাই, তোমারি মান বাড়লে, মেয়ের কি মুখ হলো ? বিদ্যা । সুরমে, তুমি এমন বুদ্ধিমতী হয়ে এমন কথাটা বল্যে, মেয়ের সুখের সীমা নাই । লোকে মেয়েকে আশীৰ্ব্বাদ করে, রাজ্যেশ্বরী হও, মুক্তার মালা গলায় দাও, পাটের শাড়ী পরিধান করে, পাচ জনকে প্রতিপালন করে, যাহা উল্লেখ করে মেয়েরে লোকে আশীৰ্ব্বাদ করে, আমি কামিনীর জন্যে সেই সকল সংগ্ৰহ করিচি, আরো মেয়ের মুখ হলো না । সুর । তোমায় আমি আর কত বুঝাবে, তোমার মত যার বয়স, যে আমন জগদ্ধাত্রী রড় রাণী সত্ত্বে আবার বিয়ে করেছিল, যে ভ্ৰমেও একবার বড় রাণীকে দেখতে না, যে অবশেষে স্ত্রীহত্য পুত্রহত্যা করেচে, সে কি কখন আমার কামিনীকে মুখ কত্তে পারে ? তুমি ভট্টাচাৰ্য্য ব্রাহ্মণ লোভেতে অন্ধ, কিসে কি হয়, কিছুই দেখ না, রাজার নাম শুনেই উন্মত্ত হয়েচ, আমার কামিনী গালার চুড়ি পরে মনের সুখে থাক । বিদ্যা। রাজা আর দুই বিয়ে করবেন না। সুর। করুন আর না করুন, আমার কামিনীকে পাবেন না—তোমার ভাবনা কি, যে বিষয় করেচ, দশটা সংসার প্রতিপালন হতে পারে ; দশটা পাচটা নয়, একটা মেয়ে, তাকে কি তুমি পুষ তে পারবে না ? একটি ভাল ছেলে দেখে