পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ দীনবন্ধু-গ্রন্থাবলী তোমার কৃপায় কামিনী যেন যাবজ্জীবন সুখী হয়, বিজয় যেন আশ্রমবাসী হতে অমত না করেন । কামিনীর প্রবেশ কামি । মা আমি একটি কথা বলি, কথাটি শুনবেন তো, রাগ করবেন না তো ? মুর । তোমার কোন কথায় আমি রাগ করিচি মা ? কামি । ম, নাপতেদের শৈল বেলে পাতরে ভাত খায়, আমি বলেছিলাম, শৈল যদি ভাল পড়া বলতে পারে, তোমায় একখানি থাল দেবো ; মা, সেই দিন হতে সে এমন মন দিয়ে পড়চে, দুই মাসের মধ্যে একখানি পুস্তক সায় করেচে, হ্যা ম৷ তাকে আমার ছোট থালখানি দেব ? স্বর। হ্য। মা কামিনি, এই কথার জন্তে তুমি এত ভীত হয়েছিলে—সে থালখানি তোমার মাম। আদর করে দিয়েছিলেন, সেখানি তুমি শ্বশুরবাড়ী নিয়ে যেও, তার চেয়ে আর একখানি ভাল থাল তাকে দাওগে । কামি । তবে যে থালখানি রথের সময় কিনেছিলাম, সেইখানি দিইগে—দেখ মা, শৈল এমন মিষ্টি কথা কয়, এমন কখন শুনি নি, শৈল যেন পটের ছবিটি, সাত বছরের মেয়েটি বাড়ীর কত কাজ করে । সুর । কামিনি, তোমার কাছে এখন কটি মেয়ে পড়ে মা ? কামি । স্থলোচনা শ্বশুরবাড়ী গেছে, এখন পাচটি মেয়ে পড়ে। মুলোচনা শ্বশুরবাড়ী যাবার সময় আমার ভাল শাড়ীখান তারে দিলেম, স্থলোচনা কত আহলাদ কল্যে, সুলোচনার মা কত আশীৰ্ব্বাদ কত্তে লাগলো, দেখ মা, এর দুঃখিনী, পুরাণ শাড়ীখানি পেয়ে এত আহলাদ । মুর । মুলোচনা তোমায় মা বলে ডাকতো ?