পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীনবন্ধু-গ্রন্থাবলী وي ৪০৫০টা হবে । কি উঠানই ছিল, যেন ঘোড়দৌড়ের মাঠ, আহা ! যখন আসধানের পালা সাজাতো বোধ হতো যেন চন্দন বিলে পদ্মফুল ফুটে রয়েছে। গোয়ালখান ছিল যেন একটা পাহাড় । গেল সন, গোয়াল সারিতে না পারায় উঠানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে রয়েছে। ধানের ভুয়ে নীল করে নি বল্যে মেজো সেজে তুই ভাইকে ধরে সাহেব বেট। আর বৎসর কি মারটিই মেরেছিল ; উহাদের খালাস করে আস্তে কত কষ্ট, হাল গোরু বিক্রী হয়ে যায়। ঐ চোটেই তুই মোড়ল গাছাড়া হয় । গোলোক। বড় মোড়ল না তার ভাইদের আন্তে গিয়েছিল ? সাধু। তারা বলেছে, ঝুলি নিয়ে ভিক্ষে করে খাব তবু ও গায় আর বসত করবে না। বড় মোড়ল এখন এক পড়েছে । দুইখান লাঙ্গল রেখেছে, তা প্রায়ই নীলের জমিতে যোড় থাকে। এও পালাবার যোগাড়ে অাছে । কৰ্ত্ত মহাশয়, আপনিও দেশের মায়া ত্যাগ করুন । গত বারে আপনার ধান গিয়েছে, এই বারে মান যাবে। গোলোক । মান যাওয়ার আর বাকি কি ? পুষ্করিণীটির চার পাড়ে চাস দিয়াছে, তাহাতে এবার নীল করবে, তা হলেই মেয়েদের পুকুরে যাওয়া বন্ধ হলো। আর সাহেব বেটা বলেছে, যদি পুৰ্ব্ব মাঠের ধানি জমি কয়খানায় নীল না বুনি, তবে নবীনমাধবকে সাত কুটির জল খাওয়াইবে । সাধু। বড়বাবু ন কুটি গিয়েছেন ? গোলোক । সাধে গিয়েছেন, প্যায়দায় লয়ে গিয়াছে। সাধু। বড়ৰাবুর কিন্তু ভ্যাল সাহস । সে দিনে সাহেব বলে, “যদি তুমি আমিন খালাসীর কথা না শোনে, আর চিহ্নিত জমিতে নীল না কর, তবে তোমার বাড়ী উঠাইয়ে