পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তপস্বিনী br" কঁাদেন তটিনীতটে মলিন বদনে ; গোপাল আলয়ে আসে আনন্দ অস্তুরধূলায় ছাইয়ে যায় গগনের কায়— হস্বারবে সন্তাষেন আপন নন্দন ; এই তো সময় যবে ব্রহ্ম উপাসক, একমনে ভাবে সেই ব্ৰহ্মাণ্ডের স্বামী-- করুণাবরুণাগার, মঙ্গল আধার, বিমল মুখের সিন্ধু, শাস্তিপারাবার । ( নয়ন মুত্রিত করিয়া ধ্যান ) আমার বিজয় এখন এল না ; রাত্রি হয়েচে তবু বাবা বাইরে রয়েচেন ? বিজয় অামার এমন তো কখন থাকে না । বাবা যেখানে থাকুন সন্ধ্যার সময় মা বলে ঘরে আসেন আজ কেন এমন হলো, আমার মনে যে কতখান। গাচ্চে, আমার বিজয় যে বড় দুঃখের ধন, বিজয় যে আমার সকল ক্লেশ নিবারণ করেচে, বিজয়ের মুখ দেখে যে আমি সাবেক কথা সব ভুলে গিইচি– বোধ করি সুরমার কাছে গিয়েচেন—সুরমা অভাগিনীর ছেলেকে এত যত্ন কচ্চেন । হা জগদীশ্বর । আমায় পৃথিবীতে স্নেহ করে এমন কেউ নাই ; জগদীশ্বর | সকলেই অামায় ত্যাগ করেচে, কেবল তুমিই আমায় চরণকমলে স্থান দিয়ে রেখেচ, সেই জন্যেই অামি চিরতুঃখিনী হয়েও পরম সুখী – যদি দিন পাই তবে সুরমার স্নেহের পরিশোধ দেব । শু্যামার প্রবেশ শু্যাম । ও মা, বিজয় আসচে, আর বিজয়ের সঙ্গে একটি মেয়ে আসচে, ও মা এমন মেয়ে কখন দেখি নি, ঠিক যেন একটি দেবকস্তা—