পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তপস্বিনী ზ თ ა জলধরের মুখে বিকট মুখস বন্ধন এবং জলধরের গুড়ের ভিতর প্রবেশ, মালতীর দ্বার মোচন, রতিকাস্তের প্রবেশ রতি । আমি তো জন্মের মত চল্যেম–( চুপি চুপি ) ব্যাটা কি পাজি, অনায়াসে একটা লোকের সৰ্ব্বনাশ করতে সম্মত হয়েছে, আমার ইচ্ছে কচ্চে, তলয়ারের খোচা দিয়ে ওর পেটু গেলে দিই । মাল । আর কিছু কত্তে হবে না, যেমন নষ্ট তেমনি শাস্তি পাবে । তুমি ও ঘরে যাও আমি দোর দিই । রতি । মল্লিকে কোণে গিয়ে দাড়য়েচে কেন ? আমার অার কথা কইবের সময় নাই । [ রতিকাস্তের প্রস্থান । মাল । মল্লিকে, এ দিকে আয়, মন্ত্রী মহাশয়কে নিয়ে অায় । ( গুড়ের গামলা হইতে জলধরের গাত্রোথান ) জল ৷ গিয়েচে তো ? রস দেখি, গিয়েচে–তুমি ভয় দেখাতে পাল্লে না, যে কেউ দেখতে পেলে রাজবিদ্রোহী বলে ধরে দেবে। আর তো আসবে না—আঃ এমন আট গুড় তে৷ কখন দেখি নি, আমার হাত গায়ের সঙ্গে জোড়া লেগে গেচে । মল্লি । ওটা কিসের মুখোস । মাল। ওটা হেঁদোলকুঁৎকুতের মুখোস । জল । এ কথা নিয়ে খুব আমোদ কত্তে পাত্তেম, যদি ঠিক জানতেম যে ব্যাট। আর আসবে না, আমার একপ্রকার হৃৎকম্প হয়েছে । মাল। আর ভয় কি ? - জল । আমি গ৷ হাত না ধুয়ে তোমার করপদ্ম ধারণ কত্তে পারবে না । মল্লি । হান কি, এখন একবার করপদ্ম ধারণ কর, “এতে গন্ধপুষ্পে” হয়ে যাক ।