পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তপস্বিনী సి মাধব । ওহে বাবাজি, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, বলি ফলমূলে পেট ভরে তো ? বিজ। মহারাজ, তপস্বীরা পরম সুখী, ভাৰ্য্যার ভাবন। ভাবিতে হয় না, সন্তানের ভাবনা ভাবিতে হয় না ; চোরের ভয় নাই, দসু্যর ভয় নাই, রোগের ভয় নাই, শোকের ভয় নাই। তাহার। পরমানন্দে অমৃত্যক্ত চিত্তে পরম ব্রহ্মের ধ্যান করে । সহসা কোন ব্যক্তি এমন পবিত্র ব্যবসায় সহস্ৰ শোকসমাকুল সংসারাশ্রমের সহিত বিনিময় করে না । অামি সরল কামিনীকে সোনার চক্ষে দেখলেম, মন বিমোহিত হয়ে গেল, কামিনীর জন্যে তপস্বিবৃত্তি পরিত্যাগ করে সংসারী হতে প্রবৃত্ত হইচি । মহারাজ, কামিনীও আমাকে শুভ দৃষ্টিতে দর্শন করেছিলেন ; তিনি একদিন নির্জনে তপস্বিনীর বেশ ধারণ করে জগদীশ্বরের ধ্যান করিতেছিলেন, আমি তাহ দর্শন করে তার মনের ভাব বুঝতে পারলেম এবং বিবাহের কথা ব্যক্ত করলেম । কামিনীর জননী সম্মতি দান করিয়াছেন, এক্ষণে কামিনীর পিতা মত দিলেই পরম মুখে পরিণয় হয় । বিদ্যা । সব মিথ্যা, সব মিথ্যা ; ব্রাহ্মণীকেও জাদু করেচে | গুরু । তোমার মাতার মত হয়েচে ? বিজ । মহাশয়, আমার সপ্তদশ বৎসর বয়স হইয়াছে, আমি ইহার মধ্যে আমার চিরদুঃখিনী জননীর মুখে কখন হাসি দেখি নি ; কিন্তু মিষ্টভাষিণী কামিনীকে ক্রোড়ে করে তাহার বিরস বদনে সরস হাসির উদয় হয়েচে, তিনি কামিনীকে পেয়ে পরম মুখী হয়েছেন । রাজা । তোমার নাম কি ? বিজ। আমার নাম বিজয় ।