পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা ‘নবীন তপস্বিনী নাটক’ প্রকাশ করিবার দীর্ঘ তিন বৎসর পরে দীনবন্ধু বিয়েপাগলা বুড়ো প্রকাশ করেন। বিয়েপাগল। বুড়ো ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দের গোড়াতেই প্রকাশিত হইয়াছিল ; কারণ, ঐ বৎসরের ২১এ জুলাই তারিখের The Bengales সাপ্তাহিক পত্রিকায় এই পুস্তকের আলোচনা-প্রসঙ্গে সম্পাদক লিখিয়াছিলেন যে, তিন মাস পূৰ্ব্বে এই সমালোচনা প্রকাশিত হওয়া উচিত ছিল। দীনবন্ধুর জীবিতকালে ইহার দুইটি সংস্করণ হয়। ১২৭৮ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণের পাঠই বৰ্ত্তমান গ্রন্থাবলী সংস্করণে গৃহীত হইয়াছে। 'রহস্য-সন্দর্ভে (৩৩ খণ্ড, পৃ. ১৪১-৪২ ) মনস্বী রাজেন্দ্রলাল মিত্র এই প্রহসনখানির উচ্চপ্রশংসামূলক সমালোচনা প্রকাশ করিয়া গ্রন্থকারকে অভিনন্দিত করেন। তিনি লেখেন— ইতঃপূৰ্ব্বে মিত্র বাবু নবীন তপস্বিনী’ ও অপর একখানি [ নীলদর্পণ ] নাটক রচনা করিয়া বাঙ্গালী পাঠকমণ্ডলীর নিকট বিশিষ্ট সমাদর লাভ করিয়াছিলেন । অধুনা এই নূতন প্রহসনে সে সমাদরের সম্যক উন্নতি হইবারই সোপান হইয়াছে।...ঐশী শক্তি না থাকিলে যে প্রকার প্রকৃত কবি হওয়া অসাধ্য, বিশেষ ও অসাধারণ কল্পনা শক্তি, ও রসবোধ, ও প্রত্যুৎপন্নমতিত না থাকিলে সেই রূপ উৎকৃষ্ট প্রহসন রচনা করাও দুষ্কর ...ইহা পরম আহলাদের বিষয় যে, মিত্র বাবু এ বিষয়ে বিশেষ সাবধান । তেঁহ অশ্লীল কাব্যে হাস্ত জন্মাইবার চেষ্টা এক বার মাত্রও করেন নাই ; অথচ তাহার রচনা বিশিষ্ট হাস্তষ্ঠোতক হইয়াছে, সন্দেহ নাই। ‘বিয়েপাগল বুড়ো দীনবন্ধুর সর্বপ্রথম প্রহসন। নিঃসন্দেহে ইহ মধুসূদনের বুড় সালিকের ঘাড়ে রো’র আদর্শে রচিত