পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ 〉> কি সৰ্ব্বনাশ । ( সাধুর প্রতি ) তুমি দেড়য়ে দ্যাক্‌চে। কি, বাবুদের বাড়ী যাও, বড় বাবুকে ডেকে আনে । আমিন। (সাধুর প্রতি) তুই যাবি কোথ, তোরও যেতে হবে। দাদন লওয়া রেয়ের কৰ্ম্ম নয়। ঢ্যার সইতে অনেক সইতে হয় । তুই লেখা পড়া জানিস, তোকে খাতায় দস্তখত কর্যে দিয়ে আসতে হবে । সাধু। আমিন মহাশয়! একে কি নীলের দাদন বলে, নীলের গাদন বল্যে ভাল হয় না ? হা পোড়া অদৃষ্ট, তুমি আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ, যে ঘার ভয়ে পালয়ে এলাম, সেই ঘায় আবার পড়লাম। পত্তনির আগে এ তে রামরাজ্য ছিল, তা হাবাতেও ফকির হলো দেশেও মন্বস্তর হলো । অামিন । ( ক্ষেত্রমণির প্রতি দৃষ্টিপাত করে স্বগত) এ ছুড়ি তো মন্দ নয়। ছোট সাহেব এমন মাল পেলে তো লুপে নেবে—আপনার বুন দিয়ে বড় পেস্কারি পেলাম, তা এরে দিয়ে পাবেী—তবে মালটা ভাল, দেখা যাক । রেবতী । ক্ষেত্র, মা তুই ঘরের মধ্যে যা । ক্ষেত্রমণির প্রস্থান আমিন। চল সাধু, এই বেলা মানে মানে কুটি চল । যাইতে অগ্রসর হইল রেবর্তী। ও যে এটুটু জল খ্যাতি চেয়েলো, ও আমিন মশাই তোমার কি মাগ ছেলে নাই, কেবল লাঙ্গল রেখেছে আর এই মারপিট । ও মা ও যে ডবকা ছেলে, ও যে এতক্ষণ দু বার খায়, না খেয়ে সাহেবের কুটি যাবে কেমন করে, সে যে অনেক দূর । দোহাই সাহেবের, ওরে চাডিড খেইয়ে নিয়ে যাও—আহা, আহ, মাগ ছেলের জন্যেই কাতর, এখনো চকি জল পড়চে,