পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ দীনবন্ধু-গ্রন্থাবলী কল্লেম অনাহারেই মরবো—কিন্তু সময়ে শোকে মাটি পড়ে, এখন আর আমার সে ভাব নাই—আমি কি নিষ্ঠুর, যে পতি আমাকে প্রাণাপেক্ষাও ভাল বাসতেন, আমি সেই পতিকে একেবারে বিস্মৃত হইচি ! দিদি, আমার প্রাণপতি আমাকে অতিশয় ভাল বাসতেন, আমিও তার মুখ এক দণ্ড না দেখলে বঁচিতেম ন-দিদি, বিধবা বিয়ে চলিত হলেও আমি আর বুঝি বিয়ে কত্তে পারবো না। রাম। অনেক মেয়ে দ্বিতীয়ে বিয়ে না হতে বিধবা হয়েচে, তার স্বামী কখন দেখি নি, তাদের বিয়ে দিলে দোষ কি ? গৌর। ছোট মেয়েটিই কি, আর বড় মেয়েটিই কি, বিধবা বিয়েতে দোষ নাই। বিধবা বিয়ে চলে গেলে কেউ বিয়ে করবে কেউ করবে না, এখন পুরুষদের মধ্যেও তো অমনি আছে, মাগ ম’লে কেউ বিয়ে করে, কেউ বিয়ে করে না, কিন্তু তা বলে তো এমন কিছু নিয়ম নাই যে এত বয়সে দ্বিতীয় পক্ষে বিয়ে হবে, এত বয়সে দ্বিতীয় পক্ষে বিয়ে হবে না। সকল দেশে বিধবা বিয়ের রীতি আছে, আমাদের শাস্ত্রে বিধবার বিয়ে দেওয়ার মত আছে, সেকালে কত বিধবা বিয়ে হয়েচে, রামায়ণে শোনো নি বালি রাজা ম’লে তারার বিয়ে হয়েছিল, রাবণের রাণী মন্দোদরী বিধবা হয়ে বিয়ে করেছিল—সব লোক মূখ, কেবল আমার বাবা অার কলকাতার বলদ পঞ্চানন পণ্ডিত । রাম। বাবা বাহাত্তরে হয়েচেন, ওঁর কিছু জ্ঞান আছে, উনি সে দিন স্কুলের পণ্ডিতের সঙ্গে বিচার কত্তে কত্তে বল্যেন বিধবার। বরঞ্চ উপপতি কত্তে পারে তবু আবার বিয়ে কত্তে পারে না—আমার তিন কাল গেচে এক কাল অাছে আমার ভাবনা ভাবি নে—বাবা যদি আপনার বিয়ের উষ্ণুগ না ক’রে তোর বিয়ের উয়ুগি কত্তেন তা হলে লোকেও নিন্দে করতে না।