পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ २१ আঙ্গুরী। ম্যাদেরে বুঝি পেটপোড়া খেয়েচে । সাবি । আহুরী, তুই একটু চুপ কর বাছা । রেবতী । কুটির বিবি এই মকদ্দম। পাকাবার জঙ্কি মাচেরটক সাহেবকে চিঠি স্যাকেচে, বিবির কথা হাকিম না কি বডেডী শোনে--- আকুরী । বিবিরি অামি দেখিছি, নজাও নেই, সরমও নেই—জ্যালার হাকিম মাচেরটক সাহেব, কত নাঙ্গা পাকৃড়ি, তেরোনাল ফিরতি থাকে, মা গো নাম কল্লি প্যাটের মধ্যি হাত পা সেঁদোয়—এই সাহেবের সঙ্গি ঘোড়া চেপে ব্যাড়াতি এয়েলে । বউ মানসি ঘোড়া চাপে –কেশের কাকি ঘরের ভা শুরির সঙ্গি হেঁসে কথা কয়েলো, তাই নোকে কত নজা দেলে, এ তো জ্যালার হাকিম । সাবি। তুই আবার্গ কোন দিন মজাবি দেকচি। তা সন্ধ্যা হলো, ঘোষবউ তোরা বাড়ী যা, তুর্গ আছেন। রেবতী । যাই মা, আবার কলুবাড়ী দিয়ে তেল নিয়ে যাব, তবে সাজ জলবে । রেবতী ও ক্ষেত্রমণির প্রস্থান সাবি । তোর কি সকল কথায় কথা না কইলে চলে না। সরলতার কাপড় মাথায় করিয়া প্রবেশ আঞ্জুরী । এই যে ধোপাবউ কাপড় নিয়ে আলেন। সরলতার জিব কেটে কাপড় রাখন সাবি। ধোপাবউ কেন হতে গেল লা, আমার সোনার বউ, আমার রাজলক্ষ্মী। ( পৃষ্ঠে হস্ত দিয়া ) হ্যাগা মা, তুমি বই কি আর আমার কাপড় আনিবার মানুষ নাই—তুমি কি এক জায়গায় ১ দণ্ড স্থির হয়ে বসে থাকতে পার না—এমন