পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লীলাবতী २१ নে। বাড়ীতে যদি সম্বন্ধের কথায় আহলাদ না করি মাসাসের মুখে তিরস্কারের স্রোত বইতে থাকে। রাজ। লীলাবতীর লোকাতীত সৌন্দৰ্য্য বানরের ভূষণ হবে ? এই বুঝি লীলাবতীর বিষ্ঠার পুরস্কার ? দেখ ভাই, লীলাবতী যদি নদেরচাদকে বিয়ে করে, সে যেন লেখাপড়াগুলো ভুলে যায়, তার পর বিয়ে করে। কি সৰ্ব্বনাশ ! লীলাবতীর মরা-খবরে ত আমার এত দুঃখ হতে না । লীলাবতীর বাপ শুনিচি লীলাবতীকে বড় ভাল বাসেন, কিন্তু এখন বোধ হচ্চে তিনি লীলাবতীর পরম শত্ৰু । শার। র্তার স্নেহের পরিসীমা নাই, কিন্তু কুলীনের নাম শুনলে তিনি সব ভুলে যান। নদেরচাদ বড় কুলীন, তাই তিনি পাত্রের দোষ গুণ বিবেচনা কচ্চেন না । রাজ । জনক হৃদয় যদি স্নেহরসে গলে, কুপাত্রে কস্তায় দান করেন কি বলে ? কুপতি সতীর পক্ষে গহন কানল, অসস্তোব অন্ধকার সঙ্গা দরশন, কুৰচন কাটা, কালসাপ কদাচার, ধমক ভল্লুক,ভীম, শঙ্কুল প্রহার, প্রবঞ্চনা নষ্ট শিব’, ক্রোধ দাবানল, জালাইতে অৰলায় সতত প্রবল— হেন বলে বনবাস দিলে তনয়ায়, পাষাণহৃদয় বিনা কি বলি পিতায় ? শার । ( দীর্ঘ নিশ্বাস । ) এখন বন, উপায় অমুসন্ধান কর । লীলাবতী নদেরচাদের হাতে পড়লে এক দিনও বাছবে না। তোমাকে আর তোমার স্বামীকে সে পরমবন্ধু বিবেচনা করে, লীলাবতীকে রক্ষণ করে বন্ধুর কাজ কর । আনন্ম উৎসব সদা কুস্কম ৰামনে— লয়ন আনিৰ্ম্ম-হ্রঙ্গে সঙ্করণ করে