পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লীলাবতী ૧૭ প্র, প্রতি । তোমাদের নিন্দ করা স্বভাব—কি মন্দ পরীক্ষা করেচে ? মহাশয় এক ঘণ্টা ধরে দাড়য়ে উটে কত কথা বল্লে তা আমি সকল বুঝতে পাল্লেম না, কারণ তাতে অনেক সংস্কৃত এবং এংরাজি ছিল । তৃতী, প্রতি । এংরাজি মাতামুণ্ডু বলেচে, তবে একটি সংস্কৃত শ্লোক বলেচে বটে, কিন্তু তা শুনে ব্যাটার মাথায় যে একখান চেয়ার ফেলে মারি নি সে কেবল ভদ্রলোকের বাড়ী বলে । “দানেন ন ক্ষয়ং যাতি স্ত্রীরত্বং মহাধনং ” ব্যাটা কি শ্লোকই বলেচে । প্র, প্রতি । ঐ শ্লোকটিই বটে—কেমন মহাশয় এটি কি মনদ বলেচে । হর । আমার মাথা বলেচে—আবাগের ব্যাটা যদি একটু লেখা পড়া শিক্তে তা হলে কার সাধ্য এ সম্বন্ধে একটি কথ। কয় । ত যাই হোক, এমন কুলীন আমি প্রাণ থাকতে ত্যাগ কত্তে পারবে না। ঈশ্বর তাকে যে মান দিয়েচেন তা কি লোকে কেড়ে নিতে পারে ? সিদ্ধে। মহাশয়, আপনি পিতৃতুল্য, আপনার সুমুখে আমাদের কথা কইতে ভয় করে, কিন্তু অন্তঃকরণে ক্লেশ পেলে কথা আপনিই বেরয়ে পড়ে—কুলীন অকুলীনে সমাজের বিভাগ পরমেশ্বরের অভিপ্রেত নহে । পরমেশ্বর জীবকে যে যে শ্রেণীতে বিভাগ করেছেন তাহার পরিবর্তন নাই, এবং সেই সেই শ্রেণী আদি কাল হতে সমভাবে চলে আসছে এবং অভিন্নরূপে অনন্তকাল পর্য্যন্ত চলবে । মামুষের শ্রেণীতে মামুষেরি জন্ম হচ্চে, হাতীর শ্রেণীতে হাতীই জন্মাচ্চে, ঘোড়ার শ্রেণীতে ঘোড়ারি জন্ম হচ্চে, মনুষ্যের শ্রেণীতে কখনও সাপ জন্মায় না, এবং সাপের বংশে কখন মানুষ জন্মায় না । কিন্তু কুলীন অকুলীন সম্ভবপ্রণালী এরূপ নহে । যে সকল সদগুণের জন্য কতক লোক পুৰ্ব্বকালে কুলীন বলে গণ্য হয়েছিলেন, } e