পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক বিন্দুমাধবের শয়নঘর লিপিহস্তে সরলতা উপবিষ্ট সর } সরলা ললনা জীবন এল না । কমল হৃদয় দ্বিরদ দলন । বড় অাশায় নিরাশ হলেম । প্ৰাণেশ্বরের আগমন প্রতীক্ষায় নবসলিলশীকরণকাজিহ্মণী চাতকিনী অপেক্ষাও ব্যাকুল হয়ে ছিলাম । দিন গণনা করিতেছিলাম যে দিদি বলেছিলেন, তা তো মিথ্যা নয়, আমার এক এক দিন এক এক বৎসর গিয়েছে। ( দীর্ঘ নিশ্বাস ) নাথের আসার আশা তো নিমূল হইল, এক্ষণে যে মহৎ কার্য্যে প্রবৃত্ত হয়েছেন তাহাতে সফল হইলেই তার জীবন সার্থক—প্ৰাণেশ্বর, আমাদের নারীকুলে জন্ম, আমরা পাচ বয়স্তায় একত্রে উদ্যানে যাইতে পারি না, আমরা নগর ভ্রমণে অক্ষম, আমাদিগের মঙ্গলসূচক সভা স্থাপন সম্ভবে না, আমাদের কালেজ নাই, কাছারী নাই, ব্রাহ্মসমাজ নাই— রমণীর মন কাতর হইলে বিনোদনের কিছুমাত্র উপায় নাই, মন অবোধ হইলে মনের তো দোষ দিতে পারি না। প্রাণনাথ আমাদের একমাত্র অবলম্বন—স্বামীই ধ্যান, স্বামীই জ্ঞান, স্বামীই অধ্যয়ন, স্বামীই উপার্জন, স্বামীই সভা, স্বামীই সমাজ, স্বামিরত্বই সতীর সর্বস্বধন । হে লিপি, তুমি আমার হৃদয়বল্লভের হস্ত হইতে আসিয়াছ, তোমাকে চুম্বন করি (লিপি চুম্বন ) তোমাতে আমার প্রাণকান্তের নাম লেখা আছে, তোমাকে তাপিত বক্ষে ধারণ করি (বক্ষে ধারণ ) আহা !