পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীল-দপণ оа প্রাণনাথের কি অমৃত বচন, পত্রখানি যত পড়ি ততই মন মোহিত হয়, আর একবার পড়ি ( পঠন ) প্রাণের সরলা । তোমার মুখারবিন্দ দেখিবার জন্য আমার প্রাণ যে কি পৰ্য্যস্ত ব্যাকুল হইয়াছে, তাহ পত্রে ব্যক্ত করা যায় না। তোমার চন্দ্ৰানন বক্ষে ধারণ করিয়া আমি কি অনিৰ্ব্বচনীয় মুখ লাভ করি । মনে করিয়াছিলাম সেই মুখের সময় আসিয়াছে, কিন্তু হরিষে বিষাদ, কালেজ বন্ধ হইয়াছে, কিন্তু বড় বিপদে পড়িয়াছি, যদি পরমেশ্বরের আমুকূল্যে উত্তীর্ণ হইতে না পারি, তবে আর মুখ দেখাইতে পারিব না। নীলকর সাহেবের গোপনে২ পিতার নামে এক মিথ্যা মোকদ্দমা করিয়াছে, তাহাদের বিশেষ যত্ব তিনি কোনরূপে কারাবদ্ধ হন । দাদা মহাশয়কে এ সংবাদ আনুপূর্বিক লিখিয়া আমি এখানকার তদবিরে রহিলাম। তুমি কিছু ভাবনা করো না, করুণাময়ের কৃপায় অবশ্যই সফল হইব । প্রেয়সি, আমি তোমার বঙ্গভাষার সেক্সপিয়ারের কথা ভুলি নাই, এক্ষণ বাজারে পাওয়া যায় না, কিন্তু প্রিয়বয়স্ত বঙ্কিম তাহার খান দিয়াছেন বাড়ী যাইবার সময় লইয়া যাইব—বিধুমুখি, লেখাপড়ার স্বষ্টি কি স্বখের আকর, এত দূরে থাকিয়াও তোমার সহিত কথা কহিতেছি। আহা! মাতাঠাকুরাণী যদি তোমার লিখনের প্রতি আপত্তি না করিতেন তবে তোমার লিপিস্বধা পান করে আমার চিত্তচকোর চরিতার্থ হইত ইতি । তোমারি বিন্দুমাধব। আমারি—তাতে আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে, প্ৰাণেশ্বর, তোমার চরিত্রে যদি দোষ স্পর্শে তবে সুচরিত্রের আদর্শ হবে কে –আমি স্বভাবতঃ চঞ্চল, এক স্থানে এক দণ্ড স্থির হয়ে বসিতে পারি নে বলে ঠাকুরুণ আমাকে পাগলির মেয়ে বলেন।