পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অঙ্ক প্রথম গর্ভাঙ্ক কাশীপুর । ক্ষীরোদবাসিনীর শয়নাগার । ক্ষীরোদবাসিনীর প্রবেশ । ক্ষীরো। হা পরমেশ্বর ! হা অনাথবন্ধু ! হা মহাদেব ! অভাগিনীর প্রতি একটু দয়া হলে না—অনাথিনীকে একবার মুখ তুলে চাইলে না । আজকের রাত পোহালে কাল পুষ্ঠ্যি পুত্র লওয়া হবে, আমার নাথের নাম ডুবে যাবে—( রোদন ) কাল আমি কাঙ্গালিনী হবে, কাল আমি পথের ভিকারিণী হবে, কাল আমায় আমার বলে এমন কেউ থাকবে না— প্ৰাণেশ্বর একবার দেখা দাও—কোথায় রইলে, কোথায় গেলে, দাসীকে সঙ্গে করে নাও । হে সূৰ্য্যদেব তুমি আজ অস্তে যেও না, তুমি অস্তে গেলে আমার প্রাণনাথের নাম অস্তে যাবে—তুমি যদি অস্তে যাও, কাল আর উদয় হয়ে না—আহা ! প্ৰাণেশ্বর বিহনে আমার সব অন্ধকার— অামি আর দিন পাব না—আমি আর নাথের চন্দ্ৰবদন দেখতে পাব না—প্রাণকাস্ত, পুস্থিা পুত্র লওয়া হচ্চে তাতে ক্ষেতি কি ? তুমি বাড়ী এস, তোমায় দেখলে আমার সকল দুঃখ যাবে, তোমার পদসেবা কত্তে পেলে আমি রাজ্যেশ্বরী অপেক্ষাও সুখী হবে।—আহ ! স্বামিহীন রমণীরাই বলতে পারে স্বামীকে দেখতে পেলে মনে কি অপার আনন্দ জন্মে— ও মা, মা গো, দুঃখিনীর প্রাণে পরিতাপ যে আর ধরে না মা—আমি কি সত্যি সত্যি পতিহীনা হলেম—আমার রাজ্যেশ্বরের রাজ্যে আর এক জন এসে রাজ্য কত্তে লাগলে৷ —আহা ! আহা ! প্রাণ, তোমারে কি বলে বুঝাব, তুমি