পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লীলাবর্তী ১২৯ আমি পোড়াকপালী আজো বেঁচে রইচি, সেই অরবিন্দ ছেড়ে যাচ্চে চকু দিয়ে দেখচি–( রোদন ) ক্ষীরে । ঝি আমি হতভাগিনী, আমার কোন সাদ মিট্‌লে। না—আমার মনের দুঃখ মনেই রইলো—ঝি, অামার আঁাতুড়ে তোকে রাখতে পাল্লেম না—আমি ঠাকুরুণের মত কাহাকেও সোনাদান হাতে করে দিতে পেলেম না—ঝি আমি কাঙ্গালিনী, আমাকে চিরন্থঃখিনী বলে মনে করিস—ঝি তুই আমার প্রাণপতিকে আঁতুড় হতে লালন পালন করতিস, তুই আমাকে বড় ভাল বাসতিস, তোকে আমার তাবিচ ছ ছড়া দিই তোর ছেলের বউকে পরয়ে দিস– ( বাক্স হইতে তাবিচ বাহির করিয়া দাসীর হস্তে প্রদান ) দাসী । মা আজ কি মুখের দিন তা আমি সোনার তাবিচ নেবো—ম কালীঘাটের কালী দিন দিতেন, অরবিন্দ বাড়ী আসতো, আমি জোর করে সোনার তাবিচ নিতেম—ম এখন আমাকে তুমি তাবিচ দিও না— ক্ষীরো । ঝি অামি কাঙ্গালিনী, কিন্তু যত গহনা আছে তা সকলি আমার, আমি আজ বার বৎসর তাৰিচ হাতে দিই নি—তুই আমার প্রাণকাস্তের ঝি, তোর বউ ঐ তাবিচ পরলে অামার আহলাদ হবে— দাসী । মা তোমার যেমন মন তেমনি ধন হক, ম৷ কালীঘাটের কালী যদি থাকেন, অরবিন্দ বাড়ী আসবে, তোমার রাজ্যিপাট বজায় থাকবে । লীলাবতীর প্রবেশ । । ক্ষীরে । লীলা আমার তাবিচ তু ছড়া ঝিকে দিলেম— আমার নাম করে, অামার দয়ার সাগর প্রাণকাস্তের নাম করে, ওর বউ পরবে—লীলা, ঝি ঠাকুরুণের আঁাতুড়ে ছিল— እግ