পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লীলাবতী צט\ל ক্ষীরোদবাসিনী নিরপরাধিনী, তাহাকে পীড়ন কর। নিতান্ত নিদিয়ের কার্য্য—যোগজীবন যদিও একটি পাষগু হইতেন, যদিও তিনি নদেরচাদের করাল কপোল-কল্পিত ভগা তগৰ্তী হইতেন, যদিও যোগজীবন কেবল সতীত্ব সংহার মানসে এই ছলন করে থাকিতেন, তথাপি পতিরতা ক্ষীরোদবাসিনীর সতীত্বে দোষ পড়িত না, কারণ যখন চট্টোপাধ্যায় মহাশয়, যিনি অরবিন্দের পিতা, যিনি অরবিন্দকে বক্ষে করে মানুষ করেছেন, যার চক্ষের মণিতে অরবিন্দের মূৰ্ত্তি চিত্রিত আছে, যখন তিনিই যোগজীবনকে অরবিন্দ জ্ঞান করেচেন, তখন ক্ষীরোদবাসিনীর ভ্রম হবে আশ্চৰ্য্য কি ? ভ্রমবশতঃ যদি ক্ষীরোদবাসিনী যোগজীবনকে পতিভক্তিসহকারে পূজা করে থাকেন সে পূজা প্রকৃত অরবিন্দের পদে প্রদত্ত হয়েছে—কিন্তু যখন অরবিন্দ সরলান্তঃকরণে বলিতেছেন, যোগজীবন পরমধাৰ্ম্মিক, জিতেন্দ্রিয়, দয়াবান, তাহার পরমবন্ধু, জীবনদাতা, হিতসাধক, যখন স্পষ্ট দেখা যাচ্চে যোগজীবন বিলক্ষণ অবগত ছিলেন কোন দিবসে অরবিন্দ আগমন করবেন, তখন অরবিন্দের মঙ্গল ভিন্ন এ ছলনায় অপর উদ্দেশ্য কোন প্রকারে প্রযোজ্য নহে । যখন এই সকল পরিচয় ক্ষীরোদবাসিনী প্রাপ্ত হলেন, যখন তার বিলক্ষণ প্রতীতি হলো যোগজীবন র্তার স্বামীর পরম বন্ধু, তার স্বামীর পিতার স্বরূপ, র্তার স্বামীর জীবনদাতা, আর জানিতে পারলেন র্তার স্বামী দিবসত্রয় মধ্যে আসবেন, তখন যোগজীবনকে পিতার স্বরূপ জ্ঞান করে ঐ সকল কথা প্রকাশ করতে কাজে কাজেই বিরত হলেন—তার জন্য র্তাহাকে অপরাধিনী করা দয়াধৰ্ম্ম বিসর্জন দেওয়া এবং পরমযোগী যোগজীবনকে চক্রাস্তরে পাপাত্মা বলা—যোগজীবনের চরিত্রের যদি অণুমাত্র দোষ থাকিত তাহা হলে ভোলানাথ বাবু যিনি নদেরচাদের সম্বন্ধ ভেঙে যাওয়াবধি পরম শত্রুর স্যায় আচরণ কচ্চেন, তিনি কখন যোগজীবনের