পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r দীনবন্ধু-গ্রন্থাবলীاوئ হইলেও রাইয়তদের নামে দাদনের বকেয়া বাকি বলিয়া খাতায় লেখা থাকে। একবার দাদন লইলে রাইয়তের সাত পুরুষ ক্লেশ পায়। রাইয়তের নীল করিতে যে কাতর হয়, তাহা তাহারাই জানে আর দীনরক্ষক পরমেশ্বর জানেন। রাইয়তের পাচ জন একত্রে বসিলেই পরস্পর নিজ২ দাদনের পরিচয় দেয় এবং ত্রাণের উপায় প্রস্তাব করে, তাহারদিগের সলাপরামর্শের আবশ্যক করে না, আপনারাই মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল, এমন রাইয়তে সাক্ষী দিয়া গেল যে তাহারদিগের নীল করিতে ইচ্ছা ছিল কেবল আমার মক্কেল তাহারদিগের পরামর্শ দিয়া এবং ভয় দেখাইয় তাহারদের নীলের চাস রহিত করিয়াছে, এ অতি আশ্চর্য্য এবং প্রত্যক্ষ প্রতারণা। ধৰ্ম্মাবতার তাহারদিগের পুনৰ্ব্বার হুজুরে আনান হয়, অধীন দুই সোয়ালে তাহারদিগের মিথ্য সাক্ষ্য প্রমাণ করিয়া দিবে। আমার মক্কেলের পুত্র নবীনমাধব বসু, করাল নীলকর নিশাচরের কর হইতে উপায়হীন চাসাদিগকে রক্ষা করিতে প্রাণপণে যতু করিয়া থাকেন, এ কথা স্বীকার করি, এবং তিনি উড সাহেবের দৌরাত্ম্য নিবারণ করিতে অনেক বার সফলও হইয়াছেন তাহ পলাশপুর জ্বালান মোকদ্দমার নথিতে প্রকাশ আছে। কিন্তু আমার মক্কেল গোলোকচন্দ্র বসু অতি নিরীহ মনুষ্য, নীলকর সাহেবদের ব্যাঘ্র অপেক্ষা ভয় করে, কোন গোলের মধ্যে থাকে না, কখন কাহারো মন্দ করে না, কাহাকে মন্দ হইতে উদ্ধার করিতেও সাহসী হয় না ; ধৰ্ম্মাবতার, গোলোকচন্দ্র বসু যে মুচরিত্রের লোক তাহ জেলার সকল লোকে জানে, আমলাদিগের জিজ্ঞাসা হইলে প্রকাশ হইতে পারে— গোলোক। বিচারপতি, আমার গত বৎসরের নীলের টাকা চুক্য়ে দিলেন না, তবু আমি ফৌজদারির ভয়েতে ৬০