পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ אף মাতঙ্গনগরের কুটি হইতে আসিল, একটি গ্রামে বসিয়াছে, আমার পান্ধির নিকট দিয়া দুই জন রাইয়ত বাজারে যাইল, একজনের হস্তে ভুগদে আছে, আমি হুগদে কিনিতে চাহিল, এক রাইয়ত এক রাইয়তকে কিঞ্চিৎ করে বলিল “নীলমামদে, নীলমামদে৷” হুগদে রাখিয়া দৌড় দিল । আমি আর একজন রাইয়তকে জিজ্ঞাসা করিল, সে কহিল রাইয়ত দুই জন দাদনের ভয়ে পলাইয়াছে । আমি দাদন লইয়াছি আমার গুদামে যাইতে কি কারণ হইতে পারে। আমি বুঝিলাম আমাকে প্লানটার লইয়াছে। রাইয়তের হস্তে গদো দিয়া আমি গমন করিল। ডেপু। ভ্যালি সাহেবের কান্সারণের এক গ্রাম দিয়া পাদরি সাহেব যাইতেছিলেন রাইয়তেরা তাহাকে দেখিয়া “নীলভূত বেরিয়েছে নীলভূত বেরিয়েছে” বলিয়া রাস্ত ছাড়িয়া স্ব স্ব গৃহে পলায়ন করিয়াছিল। কিন্তু ক্রমশঃ পাদরি সাহেবের বদান্যতা, বিনয় এবং ক্ষমা দর্শন করিয়া রাইয়তের বিস্ময়াপন্ন হইল এবং নীলকর-পীড়নাতুর প্রজাপুঞ্জের দুঃখে পাদরি সাহেব যত আন্তরিক বেদন প্রকাশ করিতে লাগিলেন তাহার তাহাকে ততই ভক্তি করিতে লাগিল । এক্ষণ রাইয়তের পরস্পর বলাবলি করে “এক ঝাড়ের বঁাশ বটে—কোনখানায় দুর্গাঠাকুরুণের কাঠাম, কোনখানায় হাড়ির ঝুড়ি ।” পণ্ডিত । আমরা মৃত শরীরটি লইয়া যাই । ডাক্তার। কিঞ্চিৎ দেখিতে হইবে । আপনারা বাহিরে অানিতে পারেন । বিন্দুমাধব এবং ডেপুটী ইনস্পেক্টার বন্ধনমোচনপূর্বক মৃতদেহ লইয়া যাওন এবং সকলের প্রস্থান