পাতা:দীর্ঘকেশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
দারােগার দপ্তর, ১৫৯ সংখ্যা।

কের কেশ কিরূপ লম্বা ছিল কেবল তাহারই অনুসন্ধান করিতে লাগিলাম, ও অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিলাম, তাহাদিগের কাহারও মস্তকের কেশ দুই বা আড়াই ফুটের অধিক নহে। তখন বুঝিতে পারিলাম যে, এই অনুসন্ধানে আমাদিগের বিশেষ কোনরূপ ফল লাভ হইবে না, সুতরাং সে অনুসন্ধান পরিত্যাগ করিলাম।


তৃতীয় পরিচ্ছেদ।

 যে দিবস ঐ মস্তক পাওয়া গিয়াছিল, সেই দিবস ও তাহার পর তিন দিবস ঐরূপ গোলযোগে কাটিয়া গেল; পঞ্চম দিবস প্রত্যুষে সংবাদ পাইলাম যে, পূর্ব্বকথিত পুষ্করিণীর মধ্যে কি একটা ভাসিতেছে। এই সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া পুনরায় সেইস্থানে গমন করিলাম ও তীর হইতে দেখিলাম, প্রায় পঞ্চাশ ফুট ব্যবধানে জলের মধ্যে কি যেন একটা দেখা যাইতেছে, কিন্তু উহা যে কি, তাহা অনুমান করিতে পারিলাম না।

 এই কলিকাতা সহরের গতি, পাঠকগণ বিশেষরূপ অবগত আছেন, কোন পুলিশ-কর্ম্মচারী কোন কার্য্য উপলক্ষে কোনস্থানে দণ্ডায়মান হইলে বিনা উদ্দেশ্যে শত শত লোক আসিয়া তাঁহাকে ঘিরিয়া দাঁড়ায়। বলা বাহুল্য, আমি সেই পুষ্করিণীর ধারে গমন করিলে শত শত লোক আসিয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইল। তাহার মধ্যে সকল প্রকার লোককেই দেখিতে পাইলাম। বালক, বৃদ্ধ,