পাতা:দীর্ঘকেশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দীর্ঘকেশী।
৩৭

সাহায্য গ্রহণ করা কর্ত্তব্য হইয়া পড়িল। উর্দ্ধতন কর্ম্মচারীকে এই সমস্ত অবস্থার বিষয় তখনই সংবাদ প্রদান করিতে হইল ও তাঁহার আদেশক্রমে অপরাপর যে সকল কর্মচারীগণ ইতিপূর্ব্বে এই অনুসন্ধানে নিযুক্ত ছিলেন, তাহাদিগের সকলেই এই মোকর্দ্দমায় আমাকে সাহায্য করিবার নিমিত্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন।

 চামড়ওয়ালা ধৃত হইল। যে ঘরভাড়া করিয়া চামড়াওয়ালা ঐ স্ত্রীলোকটীকে রাখিয়াছিল, সেই ঘরের তালা খুলিয়া সেই ঘরের ভিতর উত্তমরূপে অনুসন্ধান করা হইল, কিন্তু তাহার ভিতর আমাদিগের প্রয়োজন উপযোগী কিছুই প্রাপ্ত হইলাম না। সেই সময় ঐ ঘর একেবারে শূন্য অবস্থায় ছিল, উহার ভিতর দ্রব্যাদি কিছুই ছিল না, অধিকন্তু উহা দেখিয়া স্পষ্টই প্রতীয়মান হইল যে, চারি পাঁচ দিবসের মধ্যে ঐ ঘর উত্তমরূপে ধৌত করা হইয়াছে, ও দেওয়ালে নূতন কলিচুন ফিরান হইয়াছে। ঘরের এইরূপ অবস্থা দেখিয়া মনে আরও সন্দেহ হইল। ভাবিলাম, সেই ঘরেই ঐ স্ত্রীলোককে হত্যা করা হইয়াছিল, ও স্থানে স্থানে বোধ হয় রক্তের চিহ্ন লাগিয়া ছিল বলিয়া নূতন করিয়া উহাতে চুন ফিরান হইয়াছে।

 চামড়ওয়ালা ঐ স্ত্রীলোকটাকে যে রাখিয়াছিল, তাহা সে স্বীকার করিল। আরও কহিল, সে ঐ বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইবার পর সে তাহার কিছুমাত্র অনুসন্ধান করে নাই, কারণ প্রথমতঃ সে ভাবিয়াছিল যে, সে তাহার পিতা-মাতার নিকটই গমন করিয়াছে। দ্বিতীয়তঃ ঐ স্ত্রীলোকটীকে রাখিবার কিছু দিবস পর হইতেই তাহার স্ত্রী এই সমস্ত অবস্থা অবগত