পাতা:দুঃখিনী - জলধর সেন.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখিনী। পূর্বেই সরিয়া পড়িয়াছিল। দুঃখিনীকে একাকিনী সমস্ত কাৰ্য্য করিতে হইত। সংসারের সমস্ত কাৰ্য্য করিতে হয়, তাহার' পরে প্রায়ই ধান ভানিয়া চাউল প্ৰস্তুত করিতে হয়। এমন সঙ্গতি’ নাই যে, এক দিনে ৫ কাঠা ধান সংগ্ৰহ করিয়া ভানিয়া রাখে, কাজেই প্ৰায় প্রত্যহই ধান ভানিতে হইত। সারা দিন সংসারের কাজে, পিতার শুশ্ৰষায় চলিয়া যাইত ; ছোট ভাইটির খোজ করিতে হইত। রাত্ৰিতে পিতা আহাৱা করিয়া বিছানায় বসিলে তাহাকে রামায়ণ, কি মহাভারত পড়িয়া শোনাইতে হইত। দুঃখিনী পিতাকে রামায়ণ বা মহাভারত না শোনাইয়া কোন দিনও শয়ন করিতেন না । পিতা যতক্ষণ জাগিয়া থাকিতেন, ততক্ষণ DDB DBDD BBBDSBBB BD DB DDD DDLS DBBB পিতাকে বুঝাইয়া দিতেন এবং মাঝে মাঝে র্তাহাকে তামাক সাজিয়া খাওয়াইতেন। বৃদ্ধ রামসত্য এক একদিন দুঃখিনীর এই ব্যবহার দেখিয়া আনন্দে কঁাদিয়া ফেলিতেন, তাহার। প্ৰাণের মধ্যে যে, কি এক অভূতপূৰ্ব ভাবের আবির্ভাব হইত, তাহা কি বলিষ্মা . প্ৰাকাশ করিব ? পিতা নিদ্রিত হইলে এবং ভ্ৰাতা আহার করিয়া চলিয়া গেলে, দুঃখিনী পীরাণ লইয়া বসিতেন। দুঃখিনী তো তখনও ২৩ বৎসয়ে পড়ে নাই। অল্পক্ষণ সেলাই করিলে, হয়, তাহার প্ৰদীপের তৈল ফুয়াইয়া যাইত, না হয় তাহার নিদ্ৰাকর্ষণ হইত। কাজেই ৪৫ দিনের কমে একটী পীয়াণ সেলাই শেষ হইত না ; মজুরীও। • আনায় বেশী পাওয়া যাইত না ; কারণ, সেলাই খুব ভাল হইত না । কাজেই ব্যয়-নির্বাহে তাহার অতি কষ্ট হইল। 80