পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিধু এবারু সত্যিই অবাক হইল। সে পাড়াগায়ের ছেলে, শখ করিয়া যে কেউ সাবু খায়, ইহা সে দেখে নাই। তাহার বাবাও তো যদুবাবুর সমবয়সী, তিনি এখনো যে পরিমাণে আহার করেন, যদুবাবু দেখিলে নিশ্চয়ই চমকাইয়া যাইবেন। জলযোগের পরে বাহিরের ঘরে আসিতেই চাকর ফসিতে তামাক সাজিয়া দিয়া গেল। যদুবাবু তামাক টানিতে টানিতে বলিলেন-তারপর একটা কথা জিগগেস করি বাবাজি, কিছু মনে কোরো না, মোক্তারী করতে তো এলে, সঙ্গে কত টাকা এনেচ ? নিধু প্রশ্নের উত্তর ভালো বুঝিতে না পারিয়া বলিল-আজো টাকা ? কিসের টাকা ? -বসে বসে খেতে হবে তো, খরচ চালাতে হবে না ? -আজ্ঞে তা বটে। টাকা সামান্য কিছু-ইয়ে-মানে হাতে আছে কিছু। চাল এনেচি দশ সেরা বাড়ি থেকে-তাই খাব ৷ যদুবাবু হাসিয়া বলিলেন-বাবাজি, একেই বলে ছেলেমানুষ! দশ সেরা চাল তোমার বাবা তোমার সঙ্গে পাঠিয়ে দিয়েচেন খাবার জন্যে। অর্থাৎ এই চাল ক'টা ফুরোবার আগেই তুমি রোজগার করতে আরম্ভ করে দেবে७ई कथा ८डा ? -আজ্ঞে হঁ্যা-তা-বাবা সেই ভেবেই দিয়েচেন । নিধু সব কথা ভাঙিয়া বলিল না। এক টাকার ধান ধারে কিনিয়া আনিয়া নিধুর সৎমা চালগুলি কাল সারা বিকালবেলা ধরিয়া ভানিয়া কুটিয়া তৈরি করিয়া দিয়াছেন। নিধুরা আপন মা নাই, আজ প্ৰায় পনেরো-ষোলো বৎসর পূর্বে নিধুর বাল্যকালেই মারা গিয়াছেন। যদুবাবু বলিলেন-বাবা, খেজুর গাছ তেলপান নয়। তোমার বাবা যা DBB DD D S BBDB KBK DOD BDS D EB sKE (S) 4.