পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আওয়াজ নাই, জেরায় প্রতিপক্ষের মোক্তারের ধূর্ত চােখের দৃষ্টি নাই। নিধু বাঁচিল, সে বঁাচিয়া গেল। আজ, জগতের সম্বন্ধে তাহার বিশ্বাস বদলাইয়া গেল-সৌন্দর্ধের অস্তিত্ব সে খুজিয়া পাইল এতদিনে। ইতিমধ্যে কখন নিধুর ছোট ভাই রমেশ আসিয়া দাদার কাছে দাড়াইয়াছে। নিধু বলিল-তুই কখন এলি রে ? রমেশ হাসিয়া বলিল-এই এলামআঙুল দিয়া দেখাইয়া বলিল-দিদির গলা শুনে-একবার ভাবলাম যাব কি না যাব, তারপর আর পারলাম নানিধু বলিল-তা আসবিনে কেন ? বেশ করেচিসসে আরও তৃপ্তি পাইল যে তাহার মা ও রমেশ এমন গান শুনিতে পাইল, কখনো শোনে না তো এ সব ! মধু বলিল-আপনার ছোট ভাই বুঝি ? নিধু ঘাড় নাড়িল । -*0g ? -পড়ার সুবিধে হয় না। এখানে, তবে ওকে মামারবাড়ি রেখে কিংবা নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে এবার পড়াবা-খুব বুদ্ধিমান ছেলে। -আমরা যদি কলকাতায় বাড়ি করি, আমাদের বাড়িতে রেখে দেবেন না ? মঙ্গুর উদারতায় নিধু মুগ্ধ হইয়া গেল। এ রকম কেহ বলে না। মঞ্চ ছেলেমানুষ, মন এখনো সরল-তাই বোধ হয় বলিল। পরের ঝঞ্চাট কে সহজে আজকাল ঘাড়ে করিতে চায় ? রমেশ লজায় ঘাড় গুজিয়া বসিয়া রহিল । বীরেন বলিল-রমেশ, ফুটবল খেলতে পার ? একটা ফুটবল টিম कद्र डॉञ् ि। QS