পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওকে চা দিয়ে খাবার দিয়ে জজবাবুর মেয়ে নিজে কাছে বসে গান শোনালে। বেশ লোক জৰ্জগিরিও-তিনি তো ভারি ব্যস্ত, বলেন-নিষ্ণুকে আগে দে জলখাবার, ও আমার ছেলের মতো । আমায় তো কাছে বন্বিয়ে কত সুখদুঃখের কথাকথাটা জগোঠাকরুণের তেমন ভালো লাগিল না। তিনি মুখ ঘুরাইয়া বলিলেন-বাদ দাও ওসব বড়মানুষের কথা। বলে, বড়র পরীতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেক চাদ। কারু বাড়ি যাইওনে, সময়ও নেই। ওদের সঙ্গে মেলামেশা কি আমার সাজে৷ ? তুমি বড়লোক আছ, বড়লোক আছ-আমি কেন যাব তোমার বাড়ি খোশামোদ করতে ? আমার ও স্বাভাব নেই-তো তোমরা বুঝি দেখা করতে গিয়েছিলে ? -ওম, এমনি দেখা করতে যাব কেন ? নিধুকে যে জজবাবুৱা নেমন্তর করে নিয়ে গিয়ে দুপুরবেলা কত যত্ন করে খাওয়ালে। আবার বিকেলে জলখাবারের নেমস্তন্ন করলে তার ওপর। নিধু তো লাজুক ছেলেকিছুতেই যাবে না, ওরাও ছাড়বে না। শেষে জঙ্গবাবুর ছেলে নিজে এসে আমাকে, নিধুকে ডেকে নিয়ে গেল। একেবারে নাছোড়বান্দাজগোঠাকরুণ সংক্ষেপে বলিলেন-বেশি। কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ। পরে নিধুর মা-ই নীরবতা ভঙ্গ করিয়া বলিলেন --না, বেশ লোক কিন্তু ওরা । জগোঠাকরুণ মুখ খিচাইয়া কহিলেন-কি জানি বাপু, কারো ছন্দাংশেও কোনদিন থাকিনি-থাকিবও না । বেশ হোক, খারাপ হোক, যারা আছে, " তারাই আছে। মেয়েটার নাম কি বললে ? --মঞ্জু। কি চমৎকার মেয়ে দিদি ! 一不阿卒5? 8S