পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-৮ও দিদি, নিধুদা এসেচে—এই যে-ওমা-বলিতে বলিতে সে তাহার হাত ধরিয়া টানিতে টানিতেই বাড়ির মধ্যে লইয়া গেল । মঞ্জু হাসিমুখে ঘর হইতে রোয়াকে আসিয়া দাড়াইয়া বলিল-এই যে আসুন নিধুদা, আমি আজ তিনবার নৃপেনকে পাঠিয়েচি আপনার খোজে। এই মাত্তর বলছিলাম। ওকে আর একবার গিয়ে দেখে আসতে এলেন কি না । কতক্ষণ এসেচেন ? -এই ঘণ্টাখানেক। সন্দের পর এসেচি—এসে নেয়ে এলাম পুকুরে—আসুন বসুন। কিছু মুখে দিন -ওসব সেরে এসেচি বাড়ি থেকে—এটাও তো বাড়ি নিধুদা। সেরে এসেচেন বলে কি রেহাই পাবেন ? बश्नমঙুকে নিধুর আজ বড় ভালো লাগিল। সে একখানা ফিকে ধূসর রঙের জরির কাজ করা ঢাকাই শাড়ি ও ঘন বেগুনি রঙের সাটিনের ব্লাউজ পরিয়াছে, পিঠে লম্বা চুলের বিনুনির অগ্রভাগে বড় বড় ট্যাসেল দোলানো, খালি পায়ে আলতা, সুন্দর ফর্স মুখে ঈষৎ পাউডারের আমেজ-বড় বড় চোখে প্ৰসন্ন বন্ধুত্বের হাসি। নৃপেন বলিল-কাল আপনি আছেন তো ? আমাদের আবৃত্তি প্ৰতিযোগিতা জানেন না ? নিধু বিস্ময়ের সুরে বলিল—কোথায় কে করবে-বাবা এখানকার পাঠশালার ছেলেদের আর মেয়েদের মেডেল দিচ্চেন। অবিশ্যি যে ফাস্ট হবে তাকে দেবেন। বাবা সভাপতি, স্কুল সবইনস্পেক্টর বিচার করবেন । বাবা মেডেল দেবেন, বাবা তো বিচার করতে । পারেন না ? -কাল কখন হবে ? WO