পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিধু বলিল-কি কবিতা আবৃত্তি হবে শুনি ? -রবীন্দ্রনাথের “দুইবিঘা জমি’ আর মাইকেল মধুসূদনের ‘রসাল ও “স্বর্ণলিতিকা’- -আমি নিজে কখনোই ও দুটো ভালো করে আবৃত্তি করতে পারিনে--তাহলেই তো আপনি সব চেয়ে ভালো জজ হতে পারবেন-আমি কেন তবে ? আমাদের গায়ের হরি কলুকে জজ কর না কেন তবে ? মধু হি-হি কারিয়া হাসিয়া উঠিল। নিধুর মনে হয় এমন বীণার ঝঙ্কারের মতো সুমিষ্ট হাসি সে কখনো শোনে নাই । নৃপেন বলিল-নিধুদা, দিদিকে একবার বলুন না ও দুটো আবৃত্তি করতে ? নিধু বলিল—কর না মঞ্জু, কখনো শুনিনি তোমার মুখেমঞ্জুর একটা গুণ, বেশিক্ষণ ধরিযা তাহাকে কোনো বিষয়ের জন্যই সাধিতে হয় না-যদি তাহার অভ্যাস থাকে, সেটা সে তখনি করে। মঞ্জুর চরিত্রের এ দিকটা নিধুর সব চেয়ে ভালো লাগে—এমন সপ্রতিভ মেয়ে সে কখনো দেখে নাই । মঞ্জু দুটি কবিতাই আবৃত্তি করিল। নিধু মুগ্ধ হইয়া শুনিল-এমন গলার সুর, এমন হাত নড়িবার সুকুমার ভঙ্গি এসব পল্লী অঞ্চলে মেয়েদের মধ্যে কল্পনা করাও কঠিন। মঞ্জু বলিল-নিধুদা, আমরা একটা অভিনয় করব সেদিন বলেছিলুমথাকবেন আপনি ? --নিশ্চয়ই থাকিব —কি বই প্লে করা যায় বলুন না ? -আমি কি বইয়ের কথা বলব বল ? আমি কখনো কিছু দেখিনি নিধুর এই সরলতা মঞ্জুর বড় ভালো লাগে। চাল-দেওয়া ছোকরা সে তাহার NR