পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার দিকে আসিতেছিলেন, সবডেপুটির এজলাসের বাহির হইবার সঙ্গে সঙ্গে নিধু একেবারে সাধনের সামনে গিয়া পড়িল । আরে এই যে নিধিরাম, আজ এলে সকালে ? বেশ, বেশ। চল একটা জামিননামা আছে, যাদুদা তোমায় খুজছিলেন যে, দেখা হয়েচে ? -আজ্ঞে না-এই তো আমি পা দিয়েছি কোটে । কারে সঙ্গে এখনো--সুনীলের। এজলাসে কি কেস ছিল ? সাধন-মোক্তার প্রবীণ লোক-সবডেপুটির সামনাসামনি যদিও কখনো ‘হুজুর’ ছাড়া সম্বোধন করেন না। কিন্তু সেই সবডেপুটি বা অন্য জুনিয়ার হাকিমদের প্রথম পুরুষে উল্লেখ করিবার সময় তাহাদের নামের শেষে ‘বাবু পর্যন্ত যোগ করেন না-ইহাতে সাধন ভাবেন তাহার চরিত্রের নিৰ্ভীকতা প্ৰকাশ পায়। নিধু তঁহার প্রশ্নের জবাব দিয়া যদু-মোক্তারের খোজে গেল। বারলাইব্রেরীতে যদু বঁড়িয্যে, ধরণী পাল ও হরিবাবু বসিয়া কি লইয়া তর্কবিতর্ক করিতেছেন-এমন সময় নিধুকে ঢুকিতে দেখিয়া যদু বলিলেন -আরে নিধিরাম যে এস! সেদিনের রূপনারাণপুরের মারামারির কেসের রায় আজ বেরুবে-আসামী দুজন এখনো এসে পৌছল না। ওদের টাকা আগে হাত করতে হবে-নয় তো কিছু দেবে না।--তুমি এখানে বসে থাক। তুমিও তো কেসে ছিলে, তোমারও পাওনা আছে। ওরা এলে কোর্টমুখো যেন না হয়। —কেন ? -আসামী সব বেকসুর খালাস হয়েচে রায়ে। আমি খবর নিয়েচি । -এ তো ভালো কথা । তবে তারা এলে-যা টাকা বাকি আছেধরণী ও হরি-মোক্তার নিধুর কথা শুনিয়া হাসিলেন। যাদু বঁড়িয্যে মুখে হতাশার ভাব আনিয়া বলিলেন-জুনিয়ার মোক্তার কিনা, এখনো ܬܬ