পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোক যদু-দা! ওঁর কাছে মস্কেলের চালাকি ? না কোর্টের আমলাদের চালাকি ? যদু সগর্বে বলিলেন-আরে ভায়া, টাকা রয়েচে ওদের কাছে। দেবে না।-- দিতে চায় না । এই কাজ করচি এই রামনগরের কোটে আজ চল্লিশ বছর প্ৰায়। দেখে দেখে ঘুণ হয়ে গেলাম। এখুনি দেখ এসে টাকা দিয়ে যাবে। বাইরে দুজনে পরামর্শ করতে গেল আর কাছ থেকে টাকা খুলতে গেল। আমি জ্ঞান হয়ে অবধি এই দেখে আসচি-কত হাকিম এল, কত হাকিম গেল ! রমেশ দত্তকে এই কোটে দেখেছি।-তখন তিনি জয়েণ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট -সিভিলিয়ান রমেশ দত্ত-আমি আজকের লোক নই! নিধুকে ডাকিয়া যদু বাড়ুযে বলিলেন—তুমি বস এখানে। আমি এজলাসে যাব একবার। 6कथा७ (१७ न कि अगाध न कcद्ध । আজ বারো মাসের মোক্তারী জীবনে নিধু এরকম অনেক দেখিল। একএকবার তাহার মনে হয়। এর চেয়ে স্কুল-মাস্টারি করা অনেক ভালো ছিল। এ দুঃখের কথা—পূলে পলে মনুষ্যত্বের এই মরণ—কাহার কাছে এসব কথা ব্যক্ত করিবে সে ? : । একজন মাত্র মানুষ আছে। সে মধু। মঞ্জুর কাছে সামনের শনিবারে সব সে খুলিয়া বলিবে। এ জীবন আর ভালো লাগে না । কোর্টের কােজ সারিয়া বাহির হইতে প্ৰায় পাঁচটা বাজিল। সাধন-মােক্তার তাহাকে বাসায় যাইবার পথে ধরিয়া বলিলেন-ওহে নিধিরাম শোনো শোনো । আমার সে ব্যাপারটা -আজো, বুঝেচি । সে এখন হবে না। -কেন বল তো ? জিগগেস করেছিলে বাড়িতে ? -বাড়িতে আর জিগগেস করব ? এখন নিজেরই মন নেই। এই তো রোজগারের দশ-দেখাচেন তো সব । S8