এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বোন
১০৫
না। সে আপত্তি করলে। শর্মিলা বললে, “আর কোনাে ফল হবে না, অন্তত মামা সান্ত্বনা পাবেন।”
দেখতে দেখতে ফল হােলাে। নিশ্বাসের কষ্ট কমেছে, রক্ত ওঠা গেল বন্ধ হয়ে।
সাত দিন যায়, পনেরাে দিন যায়, শর্মিলা উঠে বসল। ডাক্তার বললে, মৃত্যুর ধাক্কাতেই অনেক সময় শরীর মরিয়া হয়ে উঠে শেষ-ঠেলায় আপনাকে আপনি বাঁচিয়ে তােলে।
শর্মিলা বেঁচে উঠল।
তখন সে ভাবতে লাগল, “এ কী আপদ, কী করি। শেষকালে বেঁচে ওঠাই কি মরার বাড়া হয়ে দাঁড়াবে।” ওদিকে ঊর্মি জিনিসপত্র গােছাচ্ছে। এখানে তার পালা শেষ হােলাে।
দিদি এসে বললে, “তুই যেতে পারবিনে।”
“সে কী কথা।”
“হিন্দুসমাজে বােন-সতিনের ঘর কি কোনাে মেয়ে কোনােদিন করেনি।”
“ছিঃ।”
“লােকনিন্দা! বিধির বিধানের চেয়ে বড়ো হবে লােকের মুখের কথা!”