শশাঙ্ক বললে, “চাকরি ছেড়ে দেওয়া আমার পক্ষে কিছুই নয়। তােমার জন্যে ভাবি, কষ্ট হবে তােমারি।”
শর্মিলা বললে, “তার চেয়ে কষ্ট হবে যখন অন্যায়টাকে গিলতে গিয়ে গলায় বাধবে।”
শশাঙ্ক বললে, “কাজ তো করা চাই, ধ্রুবকে ছেড়ে অধ্রুবকে খুঁজে বেড়াব কোন্ পাড়ায়।”
“সে পাড়া তােমার চোখে পড়ে না। তুমি যাকে ঠাট্টা ক’রে বলাে তােমার চাকরির লুচি-স্থান, বে-লুচিস্থান মরুপ্রদেশের ওপারে, তার বাইরের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে তুমি গণ্যই করাে না।”
“সর্বনাশ। সে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যে মস্ত প্রকাণ্ড। রাস্তাঘাট সার্ভে করতে বেরােবে কে। অতবড় দুরবীন পাই কোন্ বাজারে।”
“মস্ত দুরবীন তােমাকে কষতে হবে না। আমার জ্ঞাতিসম্পর্কের মথুরদাদা কলকাতায় বড়ো কণ্ট্রাক্টর, তাঁর সঙ্গে ভাগে কাজ করলে দিন চলে যাবে।”
“ভাগটা ওজনে অসমান হবে। এপক্ষে বাটখারায় কমতি। খুঁড়িয়ে শরিকি করতে গেলে পদমর্যাদা থাকবে না।”
“এপক্ষে কোনাে অংশেই কমতি নেই। তুমি জানো,