এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বোন
১১
বাবা আমার নামে ব্যাঙ্কে যে টাকা রেখে গেছেন, সুদে বাড়ছে। শরিকের কাছে তােমাকে খাটো হােতে হবে না।”
“সে কি হয়। ও টাকা যে তােমার।” বলে শশাঙ্ক উঠে পড়ল। বাইরে লােক বসে আছে।
শর্মিলা স্বামীর কাপড় ধরে টেনে বসিয়ে বললে, “আমিও যে তােমারি।”
তার পর বললে, “বের করাে তােমার জেব থেকে ফাউণ্টেনপেন, এই নাও চিঠির কাগজ, লেখাে রেজিগ্নেশন পত্র। সেটা ডাকে রওনা না ক’রে আমার শান্তি নেই।”
“আমারাে শান্তি নেই বােধ হচ্ছে।”
লিখলে রেজিগ্নেশন পত্র।
পরদিনেই শর্মিলা চলে গেল কলকাতায়, উঠল গিয়ে মথুরদাদার বাড়িতে। অভিমান করে বললে, “একদিনো তাে বােনের খবর নাও না।” মেয়ে প্রতি-দ্বন্দ্বী হােলে বলত, “তুমিও তাে নাও না।” পুরুষের মাথায় সে জবাব জোগাল না। অপরাধ মেনে নিলে।