উমি বললে, “আপনি কেন এত বেশি উদ্বিগ্ন হচ্ছেন।”
“কেন হচ্ছি শুনবে? রাগ করবে না?”
“সত্য কথা শােনবার শক্তি আপনার কাছ থেকেই পেয়েছি। জানি সহজ নয় তবু সহ্য করতে পারি।”
“তবে বলি শােনাে। তােমার স্বভাবের সঙ্গে শশাঙ্কবাবুর স্বভাবের একটা মিল আছে এ আমি লক্ষ্য ক’রে দেখেছি। তাঁর মনটা একেবারে হালকা। সেইটেই তােমাকে ভালো লাগে, ঠিক কিনা বলো।”
ঊর্মি ভাবে, লােকটা সর্বজ্ঞ নাকি। ভগ্নীপতিকে ওর খুব ভালাে লাগে সন্দেহ নেই। তার প্রধান কারণ, শশাঙ্ক হো হাে ক’রে হাসতে পারে, উৎপাত করতে জানে, ঠাট্টা করে। আর ঠিকটি জানে ঊর্মি কোন্ ফুল ভালােবাসে আর কোন্ রঙের শাড়ি।
ঊর্মি বললে, “হাঁ, আমার ভালাে লাগে, সে-কথা সত্যি।” নীরদ বললে, “শর্মিলাদিদির ভালােবাসা স্নিগ্ধগম্ভীর, তাঁর সেবা যেন একটা পুণ্যকর্ম, কখনাে কর্তব্য থেকে ছুটি নেন না। তারি প্রভাবে শশাঙ্কবাবু একমনে কাজ করতে শিখেছেন। কিন্তু যেদিন তুমি ভবানীপুরে যাও সেইদিনই ওঁর যেন মুখােশ খ’সে পড়ে,