ক’রে ক’রে যাচ্ছে। প্রজাপতির ক্ষণিক হালকা ডানা ফুলকে যেমন বসন্তের স্পর্শ দিয়ে যায়।
এসব চিন্তাকে যত বেগে সে মন থেকে দূর করতে চায় সেই বেগের প্রতিঘাতই চিন্তাগুলিকে ততই ওর মনে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। নীরদের একখানা ফোটোগ্রাফ রেখেছে ডেস্কের উপর। তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। সে-মুখে বুদ্ধির দীপ্তি আছে, আগ্রহের চিহ্ন নেই। সে ওকে ডাকে না, তবে ওর প্রাণ সাড়া দেবে কা’কে। মনে মনে কেবলি জপ করে, কী প্রতিভা, কী তপস্যা, কী নির্মল চরিত্র, কী আমার অভাবনীয় সৌভাগ্য।
একটা বিষয়ে নীরদের-জিত হয়েছে সে-কথাটাও বলা দরকার। নীরদের সঙ্গে ঊর্মির বিবাহের সম্বন্ধ হােলে শশাঙ্ক এবং সন্দিগ্ধমনা আরাে দশজন বিদ্রূপ ক’রে হেসেছিল। বলেছিল, রাজারামবাবু সাদা লােক, ঠাউরে বসেছেন নীরদ আইডিয়ালিস্ট। ওর আইডিয়ালিজ্ম্ যে গােপনে ডিম পাড়ছে ঊর্মির টাকার থলির মধ্যে, এ-কথাটা কি লম্বা লম্বা সাধুবাক্য দিয়ে ঢাকা যায়। আপনাকে স্যাক্রিফাইস করেছে বই কি, কিন্তু যে-দেবতার কাছে, তাঁর মন্দিরটা ইম্পীরিয়াল ব্যাঙ্কে।