ব। আজ্ঞে হাঁ।
আ। বেলা একটার সময়?
ব। হৃষীকেশের মুখে ঐ কথাই শুনিয়াছি।
আ। বেহারী কি একা যাইতেছিলেন?
বলদেব কোন উত্তর করিলেন না। তিনি মস্তক অবনত করিয়া আমার সম্মুখে কিছুক্ষণ দাঁড়াইয়া রহিলেন। পরে আমার মুখের দিকে চাহিয়া সলজ্জ ভাবে উত্তর করিলেন, “আজ্ঞে আমি সে কথা জিজ্ঞাসা করি নাই। হৃষীকেশও আমায় সে বিষয়ে কোন কথা বলেন নাই।”
আমি বলদেবের কথায় সন্তুষ্ট হইলাম না। তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আমাকে তাঁহার নিকট লইয়া যাইতে পারেন? তাঁহার মুখের কথা না শুনিয়া আমি কোন কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিব না।”
আমার কথায় বলদেব তখনই সম্মত হইলেন। তিনি বলিলেন, “আমি এখনই প্রস্তুত আছি, যাহাতে বেহারীর সন্ধান হয়, আমি প্রাণপণে তাহার সাহায্য করিব।”
যে সময়ে বলদেব এই কথা বলিল, তখন রাত্রি দশটা বাজিয়া গিয়াছিল। সেই রাত্রে সেখান হইতে আরও অর্দ্ধক্রোশ পথ গিয়া একজন সংসারী লোককে বিরক্ত করা যুক্তিসিদ্ধ বিবেচনা করিলাম না। বলদেবকে বলিলাম, “আজ অনেক রাত্রি হইয়াছে। এমন সময় আর কোন কার্য্য হওয়া অসম্ভব। কাল প্রত্যুষে আপনি আমার নিকট যাইবেন। সেখান হইতে উভয়ে একত্রে হৃষীকেশের নিকট গমন করিব।”
এই বলিয়া মনোহরগিরির দিকে চাহিয়া বলিলাম, “আজ চলিলাম। আমার বোধ হয়, ভিতরে কোন ভয়ানক গূঢ় রহস্য নিহিত