বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দুই শিষ্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ।

 রাত্রি প্রভাত হইবার কিছু পূর্ব্বে একজন কনষ্টেবল আমায় সংবাদ দিল, বলদেব নামে একজন পশ্চিমদেশীয় যুবক বিশেষ কোন কার্য্যের জন্য আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন।

 আমি নিদ্রিত ছিলাম। যখন কনষ্টেবলের কথা আমার কর্ণগোচর হইল, আমি তখনই শয্যাত্যাগ করিলাম এবং মুখাদি প্রক্ষালন করিয়া বাহিরে আসিলাম। বলদেব আমার অপেক্ষায় অফিস ঘরের সম্মুখস্থ বারান্দার একখানি বেঞ্চের উপর বসিয়াছিলেন। আমায় দেখিবামাত্র সসম্ভ্রমে দণ্ডায়মান হইয়া নমস্কার করিলেন। আমিও প্রতিনমস্কার করিয়া, তাহার সহিত বাহিরে আসিলাম এবং থানার ফটকের নিকট গিয়া গাড়ীর অপেক্ষা করিতে লাগিলাম।

 কিছুক্ষণ পরেই একজন কনষ্টেবল একখানি সেকেণ্ড ক্লাস গাড়ী লইয়া তথায় উপস্থিত হইল। আমি বলদেবকে লইয়া তাহাতে আরোহণ করিলাম। পরে বলদেবের নিকট হইতে হৃষীকেশের সন্ধান জানিয়া লইয়া, কোচমানকে নির্দিষ্ট স্থানে যাইতে আদেশ করিলাম।

 কিছুদুর গমন করিলে পর, আমি বলদেবকে জিজ্ঞাসা করিলাম, *শুনিয়াছি, মন্দিরের আয় অনেক, কত টাকা হইবে অনুমান করেন?”

 বলদেব ঈষৎ হাসিয়া উত্তর করিলেন, “আপনি শোনেন