বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দুই শিষ্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
দারোগার দপ্তর, ২০১ সংখ্যা।

লাম, “সে কি কথা! তোমার পিতা কোথায় তুমি বলিতে পারিতেছ না? এ বড় লজ্জার কথা।”

 আমার কথায় বালক কিছুমাত্র লজ্জিত হইল না। সে হাসিতে হাসিতে বলিল, “আমি ত বাড়ীতে ছিলাম না। আজ প্রাতে আসিয়াছি মাত্র।”

 আ। কোথায় গিয়াছিলে?

 সু। মাতুলালয়ে।

 আ। কবে?

 সু। আজ চারি দিন হইল।

 আ। কি জন্য?

 সুরেন্দ্রনাথ আমার শেষ প্রশ্নে যেন বিরক্ত হইল। সে কর্কশ স্বরে বলিল, “এমন কিছু কারণ ছিল না। তবে আমার দিদিমার বাৎসরিক শ্রাদ্ধ হইয়াছে। সেই উপলক্ষে জনকয়েক ব্রাহ্মণভোজনও হইয়াছিল। আমিও সেইজন্য গিয়াছিলাম।

 আ। তোমার পিতা গিয়াছিলেন কি?

 সু। আজ্ঞে না— তাঁহার এখানে কি জরুরি কাজ ছিল, সেই জন্য আমার সহিত সেখানে যাইতে পারেন নাই।

 আমি কিছুক্ষণ ভাবিয়া বলিলাম, “তোমার পিতার সংবাদ তুমি না জানিতে পার, কিন্তু বাড়ীর লোকে ত জানে। একবার ভিতরে গিয়া সংবাদটী আন দেখি।”

 সুরেন্দ্রনাথ আমার কথায় ভিতরে গেল। কিছুক্ষণ পরে ফিরিয়া আসিয়া বলিল, “কাল বৈকালে তিনি এক বন্ধুর বাড়ীতে গিয়াছেন, এখনও আইসেন নাই।”

 সুরেন্দ্রনাথ যেরূপ করিয়া ঐ কথাগুলি বলিল, তাহাতে আমার