বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দুই শিষ্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
দারোগার দপ্তর, ২০১ সংখ্যা।

উঠিতে পারেন নাই যে, আমায় সাহায্য করিবেন। তাহার পর এই সকল গোলমাল শুনিয়া সেই বালক বাড়ীর ভিতর হইতে দৌড়িয়া আসিল এবং পিতাকে মুক্ত করিবার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিল। আমি প্রাণপণে কেদারনাথকে ধরিয়া রহিলাম। বলদেব তখনই গাত্রোথান করিলেন।

 সৌভাগ্যক্রমে সেই সময়ে একজন কনষ্টেবল সেইদিকে আসিতেছিল। সে দূর হইতে গোলযোগ দেখিয়া দৌড়িয়া নিকটে আসিল এবং আমার অনুরোধে কেদারনাথকে ধরিয়া ফেলিল। ইত্যবসরে বলদেব আসিয়া সেই বালককে গ্রেপ্তার করিলেন।

 আমি তখন সেই কনষ্টেবলের নিকট গিয়া আমার পরিচয় দিলাম। তখনই এক সুদীর্ঘ সেলাম ঠুকিয়া কনষ্টেবল আমার আদেশ অপেক্ষা করিতে লাগিল।

 আমি প্রথমতঃ বলদেবকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি সহসা এখানে আসিলেন কেন?”

 বলদেব লজ্জিত হইয়া বলিলেন, “আপনার বিলম্ব দেখিয়া আমার সন্দেহ হইল, ভাবিলাম, হয়ত কোন বিপদ ঘটিয়াছে, সেই, কারণে কোচমানকে সেই বটবৃক্ষতলে অপেক্ষা করিতে বলিয়া, স্বয়ং ধীরে ধীরে এই দিকে আসিতে লাগিলাম। দূর হইতে কেদারনগকে দেখিয়া আমার মনে বড়ই আনন্দ হইল, আমি দ্রুতগতি নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। কিন্তু পাছে প্রথমে আপনার পরিচয় দিলে আপনি রাগান্বিত হন, এই ভয়ে আপনার কোন কথা বলি নাই। অবশেষে যখন বুঝলাম যে, কেদারনাথ বড় সহজ লোক নহেন, পুলিসের উৎপীড়ন ভিন্ন কোন কথা স্বীকার করবে না, তখন অগত্যা সকল কথা প্রকাশ করিলাম।”