দৌড়িতে দৌড়িতে আমার নিকট ফিরিয়া আসি। চীৎকার করিয়া বালকের মত রোদন করিতে লাগিলেন।
আমি বলদেবের ব্যবহারে স্তম্ভিত হইলাম। কিন্তু তখন কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলাম না। কিছুক্ষণ পরে তিনি কিয়ৎ পরিমাণে শান্ত হইয়া আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “সর্ব্বনাশ হইযাছে দারোগা বাবু! যেখানে ঐ জনতা দেখিতে পাইতেছেন, তাহারই নিকটে বেহারীর লাস পড়িয়া রহিয়াছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, কেদারনাথই উহাকে খুন করিয়া মাঠে ফেলিয়া দিয়াছে।”
আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া আমি আমার উত্তরীয় দ্বারা তাহাকে উত্তমরূপে বন্ধন করিলাম। পরে কোচমান ও বলদেবকে তাহার প্রহরী স্বরূপ রাখিয়া আমি সেই মৃতদেহের নিকট গমন করিলাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই উহাকে যথাস্থানে প্রেরণ করিলাম।
তাহার পর শকটের নিকট আগমন করিয়া কেদারনাথের দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “এখনও কি অস্বীকার করেন?”
কেদারনাথ কোন উত্তর করিলেন না। আমি তখন শকটে আরোহণ করিয়া কোচমানকে থানার দিকে যাইতে আদেশ করিলাম।