পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
দুর্গেশনন্দিনী

 আয়েষা, একটা রূপার সেপায়ার উপরে যে পাত্র ছিল, তাহা হইতে একটু জলবৎ দ্রব্য লইয়া পুনর্মূচ্ছাগত রাজপুত্ত্রের কপালে মুখে সিঞ্চন করিতে লাগিলেন।

 ওস্মান খাঁ অচিরাৎ হকিম লইয়া প্রত্যাগমন করিলেন। হকিম অনেক যত্নে রক্তস্রাব নিবারণ করিলেন, এবং নানাবিধ ঔষধ আয়েষার নিকট দিয়া মৃদু মৃদু স্বরে সেবনের ব্যবস্থা উপদেশ করিলেন।

 আয়েষা কাণে কাণে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন অবস্থা দেখিতেছেন?”

 হকিম কহিলেন, “জ্বর অতি ভয়ঙ্কর।”

 হকিম যখন বিদায় লইয়া প্রতিগমন করেন, তখন ওস্মান তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া দ্বারদেশে তাঁহাকে মৃদুস্বরে কহিলেন, “রক্ষা পাইবে?”

 হকিম কহিলেন, “আকার নহে; পুনর্ব্বার যাতনা হইলে আমাকে ডাকিবেন।”