অঙ্গুরীয়-প্রদর্শন ᎼbrᏬ ভাবিতেছেন ? তিলোত্তম। কি তাঙ্গার মনে পড়িতেছে ? পড়িতেছে লই কি ? আমিই যে তাঙ্গর এ গম্বুপার মূল ৮ ন জানি মনে মনে আঁমাকে কত কটু বলিতেছেন।” আবার ভাবিতেছেন, “সে কি ? আমি এ কথা কেন ভাবি ? তিনি কি কাতাকে কটু বলেন ? তা নয়, তবে এই আশঙ্ক, যদি আমাকে ভুলিয়া গিয় থাকেন। কি যদি আমি যবন গৃহবাসিনী হইয়াছি বলিয়। ঘুণাষ আমাকে আর মনোমধ্যে স্থান না দেন।” আবার rভাবেন, “ন। না—ত। কেন করিবেন ; তিনি ও যেমন দুর্গমধ্যে বন্দী, আমিও তেমনি বন্দীমাত্র ; তবে কেন রণা করিবেন o তবু যদি করেন, তবে আমি তার পায়ে ধরিয়া বুঝাইব । বুঝিবেন না ? বুঝিবেন বই কি । না বুঝেন, তাঙ্গর সম্মপে প্রাণত্যাগ করিব। আগে আগুনে পরীক্ষা হুইত ; কলিতে তাঙ্গ হয় না ; ন উক, আমি ন হয় তাঙ্কাব সম্মুখে আগুনে প্রাণত্যাগষ্ট করিব ।" আবার ভাবেন, “কবেষ্ট বা তাঙ্গর’ দেপা পাইব ? কেমন করিয়। তিনি মুক্ত হইবেন ? আমি মুক্ত হইলে কি কার্য সিদ্ধ স্টল ? এ অঙ্গরীয় বিমাতা কোথা পাইলেন? ভাগব মুক্তির জন্য এ কৌশল হয় না ? এ অঙ্গুরীয় তাহার নিকট পাঠাইলে হয় না ? কে আমাকে লক্টতে আসিবে ? তাতার দ্বার কি কেন উপায় হইতে পারিবে না ? ভাল, তাঙ্গাকে জিজ্ঞাস করিখ, কি বলে। একবার সাক্ষাৎও কি পাইতে পারিব না ?” আবার ভাবেন, কেমন করিয়াই বা সাক্ষাং করিতে চাহিব ? সাক্ষাং ইলেক্ট বা কি বলিযাই কথা কহিব ? কি কথা বলিয়াই বা মনের জাল জুড়াঈল ?” তিলোত্তম অবিরত চিন্তা করিতে লাগিলেন। একজন পরিচারিকা গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল। তিলোত্তম তাঙ্গকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “রাত্রি কত ?” -
পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮৮
অবয়ব