পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহ ጏbrል _াজপুত্র কষ্টিগেন, “তবে কি করিব ? ইহার একমাত্র উপায় আছে, তুমি ঝটিভি দাসীর দ্বার নবাবপুল্লীর নিকট এ কথার সংবাদ কর ।” 源 - مي প্রহরী দ্রুতবেগে তদভিপ্রাযে চলিল । রাজপুত্ৰ সাধ্যমত তিলোত্তমার শুশ্রুষা করিতে লাগিলেন । তপন রাজপুল মনে কি ভাবিতেছিলেন, কে বলিলে ? চক্ষুতে জল আসিয়াছিল কি না, কে বলিবে ? রাজকুমার একাকী কারাগারে তিলোত্তমাকে লইয়া অত্যন্ত বুস্ত হইলেন । যদি আয়েযার নিকট সংবাদ যাইতে ন পারে, যদি আয়েয। কোন উপায় করিতে ন পারেন, তবে কি হইবে ? তিলোত্তমার ক্রমে অল্প অল্প চেতনা হইতে লাগিল। সেই ক্ষণেই মুক্ত দ্বারপথে জগৎসিংহ দেপিতে পাইলেন যে, প্রহরীর সঙ্গে দুইটি স্ত্রীলোক আসিতেছে, একজন অবগুণ্ঠনবর্তী ; দূর হইতেই, “অবগুণ্ঠনবতীর উন্নত শরীর, সঙ্গীতমধুর পদবিন্যাস, লাবণ্যময় গ্রবাভঙ্গা দেপির। জানিতে পরিলেন দে, দাসী সঙ্গে আয়েষী স্বয়ং আসিতেছেন, আর ধেন সঙ্গে সঙ্গে ভরসা আসিতেছে । আয়েয ও দাসী প্রহরীর সঙ্গে কারাগারু-স্বারে আসিলে, দ্বাররক্ষক অঙ্গুরীয়বাহক প্রহরীকে জিজ্ঞাস করিল, “ইঙ্গদেরও মাষ্টতে দিতে হইবে কি ?” অঙ্গুরীয়বাচক কঠিল, “তুমি জান-- আমি জানি না ” রক্ষী কহিল, “উত্তম।” এই বলিয়। স্ত্রীলোকদিগকে কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিতে নিষেধ করিল নিষেধ শুনির আয়েয। মূপের অবগুণ্ঠন মুক্ত করিয়; কহিলেন, “প্রচরি ; আমাকে প্রবেশ করিতে দাও ; যদি ইঙ্গতে তোমার প্রতি কোন মন ঘটে, আমার দোষ দিও।”