পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२e দুর্গেশনন্দিনী মৃত্যুকালে কতলুর্থার মুখে যাহা শুনিয়াছিলেন, তচ্ছ বণে জগৎসিংহেরহারমধ্যে কোন ভাবান্তর জন্সিয়াছিল কি না, তাহ কিছুই: প্রকাশ পাইল না । জগৎসিংহ অর্থব্যয় এবং শারীরিক ক্লেশ স্বীকার করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু সে স্বত্ব, কেবল পূৰ্ব্ব-সম্বন্ধের স্মৃতিজনিত, কি যে যে অপরাপর কারণে মানসিংহ প্রভৃতি সেইরূপ যত্ন প্রকাশ করিয়াছিলেন, সেই সেই কারণসস্তৃত, কি পুনঃসঞ্চারিত প্রেমানুরোধে উৎপন্ন, তাহ কেহই বুঝিতে পারে নাই। যত্ন যে কারণেই হইয়। থাকুক, বিফল হইল । - মানসিংহের সেনা সকল শিবির ভঙ্গ করিতে লাগিল, পরদিন প্রভাতে “কুচ” করিবে। যাত্রার পূৰ্ব্বদিবস অশ্ববল্পায় প্রাপ্ত লিপি পড়িবার সময় উপনীত হইল। রাজপুত্র কৌতুহলী হইয়া লিপি খুলিয়া পাঠ করিলেন। তাহাতে কেবল এইমাত্র লেখা আছে, “যদি ধৰ্ম্মভয় থাকে, যদি ব্ৰহ্মশাপের ভয় থাকে, তবে পলপাঠমাত্র এই স্থানে এক আসিবে। इंडि অহং ব্রাহ্মণঃ * রাজপুত্র লিপি-পাঠে চমৎকৃত হইলেন। একবার মনে করিলেন, কোন শক্রর চাতুরীও হইতে পারে, যাওয়া উচিত কি ? রাজপুতহৃদয়ে ব্ৰহ্মশাপের ভয় ভিন্ন অন্ত ভয় প্রবল নছে ; সুতরাং যাওয়াই झेिंद्र হইল। অতএব নিজ অমুচরবর্গকে আদেশ করিলেন যে, যদি তিনি সৈন্যযাত্রার মধ্যে না আসিতে পারেন, তবে তাহারা তাহার প্রতীক্ষার থাকিবে না ; সৈন্য অগ্রগামী হয়, হানি নাই, পশ্চাৎ বৰ্দ্ধমানে কি রাজমহলে তিনি মিলিত হইতে পরিবেন। এইরূপ আদেশ করিয়৷ জগৎসিংহ একাকী শালবন অভিমুখে যাত্রা করিলেন।