পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীপ নিৰ্বাণোন্মুখ २९> পূৰ্ব্বকথিত ভগ্নাটালিক-দ্বারে উপস্থিত হইয়া, রাজপুত্ৰ পূবং শালবৃক্ষে অশ্ব বন্ধন করিলেন। ইতস্ততঃ দেখিলেন, কেহ কোথাও নাই। পরে মটালিকামধ্যে প্রবেশ করিলেন। দেখেন, প্রাঙ্গণে । পূৰ্ব্ববং একপাশ্বে সমাধি-মন্দির, একপাশ্বে চিত-সজ্জা রহিয়াছে ; চিতাক।ষ্ঠের উপর একজন ব্রাহ্মণই বসিয়া আছেন। ব্রাহ্মণ অধোমুখে বসিয়া রোদন করিতেছেন । রাজকুমার জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাশয়, আপনি আমাকে এখানে আসিতে আজ্ঞা করিয়াছেন ?” 蟾 ব্রাহ্মণ মুপ তুলিলেন ; রাজপুত্র জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া জানিলেন, ইনি অভিরাম স্বামী । 峻 রাজপুত্রের মনে একেবারে বিস্ময়, কৌতুহল, আহলাদ, এই তিনেরই আবির্ভাব হইল -প্ৰণাম করিয়া ব্যগ্রতার সহিত জিজ্ঞাসা করিলেন, “দর্শনজন্ত যে কত উদ্যোগ পাইয়াছি, কি বলিব। এপানে অবস্থিতি কেন ?” - • অভিরাম স্বামী চক্ষু মুছিয়। রুহিলেন, "আপাততঃ এইখানেই বাস।” স্বামীর উত্তর শুনিতে না শুনিতেই রাজপুত্র প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করিতে লাগিলেন । “আমাকে স্মরণ করিয়াছেন কি জন্ত ? রোদনই ব। কেন ?” ; , অভিরাম স্বামী কহিলেন, “বে কারণে রোদন করিতেছি, সেই কারণেই তোমাকে ডাকিয়াছি ; তিলোত্তমার মৃত্যুকাল উপস্থিত।” ধীরে ধীরে, মৃদু মৃচ্ছ, তিল তিল করিয়া, যোদ্ধপতি সেইপানে ভূতলে বসিয়া পড়িলেন। তখন আছোপান্ত সকল কথা একে একে মনে পড়িতে লাগিল; একে একে অন্ত:করণ-মধ্যে দারুণ তীক্ষচুরিকাঘাত t