পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সফলে নিস্ফল স্বপ্ন ૨૨૧ তীর অতি উচ্চ, অতি বন্ধুর, আর পদচালন হয় না ; তাহাতে আবার তিলোত্তমার চরণতলস্থ উপকূলের মৃত্তিক খণ্ডে খণ্ডে খসিয়া গষ্ঠার নাদে জলে পড়িতে লাগিল; নীচে প্রচণ্ড ঘূর্ণিত জলাবৰ্ত্ত, দেখিতে সাহস হয় ন। তিলোত্তম পৰ্ব্বতে পুনরারোহণ করিয়া নদীগ্রাস হইতে পলাইতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন "পথ বন্ধুর, চরণ চলে না ; তিলোত্তম৷ উচ্চৈঃস্বরে ‘াদিতে লাগিলেন ; অকস্মাৎ কালমূৰ্ত্তি কতলু খাঁ পুনরুজ্জীবিত হইয়া, হার পথ রোধ করিল ; কণ্ঠের পুষ্পমাল অমনি গুরুভার লৌহ-শৃঙ্খল ল ; কুসুম-নিগড় হস্তচু্যত হইয়া, আত্মচরণে পড়িল ; সে নিগড় আমনি ৗহ-নিগড় হইয় বেড়িল ; অকস্মাৎ অঙ্গ স্তম্ভিত হইল ; তখন কতলু খ তাঙ্গার গলদেশে ধরিয়া ঘূর্ণিত করিয়া নদী-তরঙ্গ-প্রবাহ মধ্যে নিক্ষেপ করিল। * * * স্বপ্নের কথা সমাপন করিয়া, তিলোত্তম সজলচক্ষে কহিলেন; “যুবরাজ, আমার এ শুধু স্বপ্ন নহে : তোমার জন্য যে কুসুম-নিগড় রচিয়াছিলাম, বুঝি তাহ৷ সত্যই আত্মরচণে লৌহ-নিগড় হইঘা ধরিয়াছে। যে কুসুমমালা পরাইয়াছিলাম, তাহা অসির আঘাতে ছিড়িয়াছে।” যুবরাজ তখন হান্ত করিয়৷ কাটস্থিত অসি তিলোত্তমার পদতলে রাগিলেন, কহিলেন “তিলোত্তম, তোমার সম্মুপে এই অসিশুন্ত হইলাম ; আবার মালা দিয়া দেখ,—অসি তোমার সম্মুখে দ্বিখণ্ড করিয়া, ভাঙ্গিতেছি।” - তিলোত্তমাকে নিরুত্তর দেখিয়া রাজকুমার কহিলেন, “তিলোত্তম, আমি কেবল রহস্ত করিতেছি না।” - * তিলোত্তম লজ্জায় অধোমুখী হইয়া রছিলেন। সেইদিন প্রদোষকালে অভিরাম স্বামী কক্ষান্তরে প্রদীপের আলোকে