২৩২ দুর্গেশনন্দিনী “তোমার, সাররত্ন” বলিতে আয়েষার কণ্ঠরোধ হইয়া আসিল। তিলোত্তম দেখিলেন, আয়েষার নয়ন-পল্লল জলভার-স্তম্ভিত হইয়। কাপিতেছে। - তিলোত্তম সমভূপিনীর ন্যায় কহিলেন, “কাদিতেছ কেন?” অমনি আয়েযার নয়নবারিস্রোত দরদরিত হইয়া বহিতে লাগিল । আরেষা আর তিলাদ্ধ অপেক্ষ না করিয়া দ্রুতবেগে গৃহত্যাগ করিয়া ក្រៅ দোলারোহণ করিলেন। , আরেষা যখন আপন আবাস-গৃহে আসিয়া উপনীত হইলেন,তখন রাত্রি আছে । আয়েষ বেশ ত্যাগ করিয়া শীতল-পবন-পথ কক্ষবাতায়নে দাড়াইলেন। নিজ পরিত্যক্ত-বসনাধিক-কোমল নীলবর্ণ গগনমণ্ডলমধ্যে লক্ষ লক্ষ তারা জলিতেছে ; মৃৎপবনহিল্লোলে অন্ধকারস্থিত বৃক্ষ সকলের পত্র মুখরিত হইতেছে। দুর্গশিরে পেচক মৃদু-গম্ভীর নিনাদ করিতেছে। সম্মুখে দুর্গপ্রাকার-মূলে যেখানে আয়েষ, দাড়াইয়া আছেন, তাহারই নীচে, জলপরিপূর্ণ দুর্গপরিখা নীরবে আকাশপট-প্রতিবিম্ব ধারণ করিয়া z, ʼ আয়েষ বাতায়নে বসিয়া অনেকক্ষণ চিন্ত করিলেন। অঙ্গুলি হইতে একটি অঙ্গুরীয় উন্মোচন করিলেন। সে অঙ্গুরীয়_গরলাধার। . এক বার মনে মনে করিতেছিলেন, “এই রস পান করিয়া এখনই সকল তৃষ্ণ নিবারণ করিতে পারি।” আবার ভাবিতেছিলেন, “এই কাজের জঙ্গ কি বিধাতা আমাকে সংসারে পাঠাইয়াছিলেন। _িএ মৃগ সহিতে না ৱিা, অব ষ্ট্র জন্ম গ্রন্থ কবিয়ছিলাম কেন ? গংসিংহ শুনিয়াই বা কি به عهده هیچ نوع ها বলিবেন ।
পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৪১
অবয়ব