বসিলেন। উদরে ক্ষুধা, কোলে অন্ন, অথচ খাইতে পারিতেছেন না—দিগ্গজের চক্ষে জল আসিল!
আশ্মানি বলিল, “শূদ্রের উচ্ছিষ্ট ব্রাহ্মণে ছুঁলে কি হয়?”
পণ্ডিত বলিলেন, “নাইতে হয়।”
আ। তুমি আমার কেমন ভালবাস, আজ বুঝিয়া পড়িয়া তবে আমি যাব। তুমি আমার কথায় এই রাত্রে নাইতে পার?
দিগ্গজ মহাশয় ক্ষুদ্র চক্ষু রসে অর্দ্ধ-মুদ্রিত করি, দীর্ঘ নাসিকা বাঁকাইয়া, মধুর হাসি আকর্ণ হাসি পলিলেন, “তার কথা কি? এখনই নাইতে পারি।”
অশনি বলিল, “আমার ইচ্ছা হইয়াছে তোমার পাতে প্রসাদ পাইব! তুমি আপন হাতে আমাকে দুইটী ভাত মাখিয়া দাও।”
দিগ্গজ বণিল, “তার আশ্চর্য্য কি? স্নানেই শুচি।” এই বলিয়া উৎসৃষ্টাবশেষ একত্রিত করিয়া মাখিতে লাগিল।
আশ্মানি বলিল, “আমি একটা উপকথা বলি শুন। যতক্ষণ আমি উপকথা বলিব ততক্ষণ তুমি ভাত মাখিবে, নইলে আমি খাইব না।”
দি। আচ্ছা।
অশিমানি এক রাজা আর তাহার দুয়ো শুয়ো দুই রাণীর গল্প আরম্ভ করিল। দিগ্গজ হা করিয়া তাহার মুখপানে চাহিয়া শুনিতে লাগিল—আর ভাত মাখিতে লাগিল।
শুনিতে শুনিতে দিগ্গজের মন আশ্মানির গল্পে ডুবিয়া গেল—আশ্মানির হাসি, চাহনি ও নথের মাঝখানে আটকাইয়া রহিল। ভাতমাখা বন্ধ হইল—পাতে হাত লাগিয়া রহিল—কিন্তু ক্ষুধার যাতনাটা আছে। যখন আশ্মানির গল্প বড় জমিয়া আসিল—দিগ্গজের মন